হেলিকপ্টারে যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে ঝাড়গ্রামের সভায় এলেন না অমিত শাহ। খড়্গপুর থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে ভাষণ দেন তিনি। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে বাঁকুড়ার রানিবাঁধের জনসভায় যাবেন। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, ঝাড়গ্রামের সভায় লোক হয়নি। তাই মুখে বাঁচাতে সভায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাহ।
সোমবার সকাল ১১ টা থেকে জামদা সার্কাস ময়দানে শাহের জনসভা করার কথা ছিল। সেখান থেকে রানিবাঁধে উড়ে যাবেন বলে ঠিক ছিল। দুপুর একটা থেকে সেখানে সভা শুরু করার কথা ছিল শাহের। কিন্তু হেলিকপ্টারে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। তড়িঘড়ি ঠিক হয়, খড়্গপুর থেকেই ভার্চুয়ালি বক্তৃতা দেবেন শাহ। তারপর রানিবাঁধে উড়ে যাবেন। যদিও ঝাড়গ্রামের ভার্চুয়ালি ভাষণ শুরু হতেই ১ টা বেজে যায়। মেরেকেটে সাত মিনিটের মধ্যেই ভাষণ শেষ করেন। বলেন, 'প্রচারের জন্য আমি ওখানে যেতাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার হেলিকপ্টারে গোলযোগ হয়েছে। তাই আমি আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারিনি।' একইসঙ্গে আশ্বাস দেন, ভোটের প্রচার-পর্ব শেষের আগে ঝাড়গ্রামে ঘুরে যাবেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিলে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দেন শাহ। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আদিবাসী বিশ্ববিদ্যলয় তৈরি করা হবে। 'স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া' প্রকল্পের আওতায় আদিবাসীদের 'আত্মনির্ভর' হতে ১,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করবে। যে আদিবাসী সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা উচ্চ মাধ্যমিকে ৭০ শতাংশের বেশি নম্বর পাবে, উচ্চশিক্ষার জন্য তাদের ৫০ শতাংশ অর্থ দেওয়া হবে বলে দাবি করেছেন শাহ।