দ্বিতীয় দফার ভোটের দিন বৃহস্পতিবারই কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সরব হয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই নিয়েই শুক্রবার নাটাবাড়ির সভায় আক্রমণাত্মক হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। বললেন, ‘কমিশন চালাচ্ছেন অমিত শাহ।’ এদিন নাটাবাড়ির সভা থেকে মমতা বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, ‘ প্রতিদিন ওরা এজি, এসিপি, এসডিও, এসডিপিও পাল্টে দিচ্ছে। যা ইচ্ছা তাই করছে।আপনারা ভয় পাবেন না। দরকার হলে এফআইআর করবেন।যদি পুলিশ এফআইআর না—নিতে চায়, আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ করে জানাবেন। তারপরই মমতা বলেন, ‘ কমিশন চালাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ! সেই কারণেই বিপাকে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে তৃণমূলকে। ওঁকেই তাহলে চেয়ারম্যান করা হোক।’
গতকাল নন্দীগ্রাম-সহ মোট ৩০ টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সকলের নজর ছিল নন্দীগ্রামের ওপর। কারণ, ওই কেন্দ্রে মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী। আশঙ্কা সত্যি করে একাধিকবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এলাকা। বিজেপির বিরুদ্ধে বুথ জ্যাম করার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। তাঁদের অভিযোগ ছিল, নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতিত্ব করছে। বিজেপিকে সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিন দিনহাটার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণ করেন অমিত শাহকে। পাশাপাশি নির্বাচন চলাকালীন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহযোগিতায় বিজেপি প্রার্থী নন্দীগ্রামে তাণ্ডব চালিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এদিনও বিজেপিকে তুলোধোনা করেন মমতা বলেন, ‘লোকসভায় জেতার পর গুন্ডামি আর খুন ছাড়া কী করেছে ওরা। এখন টাকা ছড়িয়ে জেতার চেষ্টা করছে। আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে কেউ কেউ। কী করবে? খুন করবে?’ পরিকল্পনা করেই ভোটের মুখে বিরোধী নেতাদের বাড়িতে সিবিআই, ইডি পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, এমন অভিযোগও তোলেন তিনি।
নাটাবাড়ির সভা থেকে এদিন আত্মবিশ্বাসী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘আমরাই আসছি, অন্য কেউ আসবে না।’ তাঁর কথায়, বিজেপি শুধু মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটে জেতার চেষ্টা করছে। এদিন জোর গলায় তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘ওদের টাকা আছে। কিন্তু টাকার জোরে সব হয় না। মনের জোরে হয়। সেই মনের জোরেই আমি এক পায়ে লড়ছি।’