ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই বাংলা-অভিযানে সরাসরি নেমে পড়তে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। আগামী রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) হলদিয়ায় একটি জনসভা করবেন। সেই সফরের আগে ও পরে আসছেন মোদীর দুই সেনাপতি জে পি নড্ডা এবং অমিত শাহ। মোদীর সভার একদিন আগে শনিবার নদিয়া থেকে ‘পরিবর্তন যাত্রা’-র সূচনা করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারে রথের দড়ি টানবেন শাহ।
রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘দুটি রথযাত্রা সংক্রান্ত বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। বাকি তিনটি রথযাত্রা নিয়ে আরও আলোচনা চলছে।’ বিজেপি সূত্রের খবর, ৯ ফেব্রুয়ারি আরও দুটি রথযাত্রা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখবেন নড্ডা। যা ঝাড়গ্রাম ও তারাপীঠ থেকে শুরু হবে। কলকাতা জোনের শেষ রথযাত্রা শুরু হবে কাকদ্বীপ থেকে। তবে সেটির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়নি। বিধানসভা ভোটের আগে সবমিলিয়ে পাঁচটি রথযাত্রা করছে বিজেপি। মাসখানেকের মধ্যে রাজ্যের ২৯৪ টি বিধানসভা এলাকায় পাঁচটি রথ ঘোরার পর ব্রিগেডে সমাবেশ করার পরিকল্পনা করছে গেরুয়া শিবির। সেখানে মোদী যাতে আসেন, সেই চেষ্টাও চালানো হচ্ছে। আগে ঠিক ছিল, ব্রিগেড থেকে মিশন বাংলার সূচনা করবেন মোদী। শেষপর্যন্ত তার আগেই একদফায় প্রচার সেরে রাখছেন তিনি।
তবে রথযাত্রার অনুমতি মিলবে কিনা, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা আছে। গত সোমবার নবান্নের কাছে অনুমতি চেয়েছে বিজেপি। রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সময় চাওয়া হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমরা সরকারের থেকে অনুমতি চেয়েছি। প্রয়োজনে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব। বিকল্প বিষয়গুলির বিষয়েও ভাবনাচিন্তা করব। এখন আমার অনুমতি পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।’ তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে আটঘাঁট বেঁধেও রথযাত্রা বের করতে না পারার তেঁতো অভিজ্ঞতা আছে বিজেপির। প্রথম রাজ্যের অনুমতি না মেলায় এবং পরে আদালতের নির্দেশে রথ বের করতে পারেননি দিলীপরা। সেই পরিস্থিতিতে এবার রথযাত্রা করতে আরও মরিয়া হয়ে উঠেছে পদ্ম-শিবির।