নির্বাচনের সঙ্গে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিকে জুড়ে দেওয়া উচিত নয়। রবিবার পূর্ব বর্ধমানে গিয়ে এই মত পোষণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিশেষজ্ঞরা যতই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ব্যাপারে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনী প্রচারকে দায়ী করুন না কেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তা মানতে রাজি নন। একইসঙ্গে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে শাহ জানিয়ে দিলেন, বিজেপি তৃণমূলের থেকে অনেক বেশি আসনে এগিয়ে আছে। ইতিমধ্যে ১২২টি আসনে জিতে গিয়েছে।রাজ্যে বোম, বন্দুক, বারুদের মডেল বন্ধ হবে। বিশ্বাস, বিকাশ আর ব্যবসার মডেল শুরু হবে।
রবিবার রীতিমতো কটাক্ষের সুরেই অমিত বলেন, ‘কাটমানির সরকারকে দূর করবে মানুষ।২ মে'র পর গরু পাচার বন্ধ হবে। শীতলকুচির মৃতদের নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ মে'র পর বাংলা থেকে বিদায় নেবে তৃণমূল সরকার।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ভোটের প্রথম পাঁচ দফায় কিছু করতে পারেনি তৃণমূলের গুণ্ডারা। তাই হতাশায় ভুগছেন দিদি।পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রীর আরোগ্য কামনা করেও কিছুটা ঠেস দিয়ে অমিত শাহ জানান, ২ মে'র পর দিদির পা যেন ঠিক হয়ে যায়। তিনি যেন হেঁটেই রাজ্যপালের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিতে পারেন।
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য নির্বাচনকে দায়ী করা নিয়ে অমিত শাহের বক্তব্য, 'মহারাষ্ট্রে কি নির্বাচন হচ্ছে? সেখানে দৈনিক ৬০,০০০-এর বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক ৪,৫০০ মানুষ (শনিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৭,০০০-এর বেশি ছিল) আক্রান্ত হচ্ছেন। আমি দুই রাজ্যের জন্যই সমান উদ্বিগ্ন।' তিনি জানান, শুধু ভারতে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গবেষকরা এই বিষয়টি নিয়ে নানা গবেষণা করেছেন। শুধু আন্দাজে কথা বলা উচিত নয়।
লকডাউন নিয়েও নিজের মত পোষণ করেন অমিত শাহ। তিনি জানান, গতবারে লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা ছিল। তখন কোনও চিকিৎসা পদ্ধতি জানা ছিল না।এখন দেশের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন।