কংগ্রেসের রীতিমতো গলার কাঁটা হয়ে উঠছেন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। এমনিতেই ভরা সভায় কার্যত 'হুমকি'-র ‘অপমান’ সইতে হয়েছে। তারইমধ্যে সিদ্দিকির দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) সঙ্গে জোটের কারণে কংগ্রেসের অন্দরেই ফারাক চওড়া হল।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে আইএসএফের সঙ্গে হাত মেলানো নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা। যিনি কংগ্রেসের ‘বিক্ষুব্ধ’ ‘জি-২৩’ নেতাদের অন্যতম সদস্য। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বলেন, ‘আইএসএফের মতো দলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট আদতে দল এবং গান্ধীবাদী ও নেহরুবাদী ধর্মনিরপেক্ষতার মূল মতাদর্শের বিরোধী বার্তা দেয়। যা দলের আত্মা। এই বিষয়টির ক্ষেত্রে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে কংগ্রেস বাছাই করে এগিয়ে যেতে পারে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব ধরনের সাম্প্রদিয়কতার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি (অধীর চৌধুরী) উপস্থিতি এবং সমর্থন লজ্জাজনক এবং বেদনানায়ক। ওনার বিষয়টি স্পষ্ট করা উচিত।’
কংগ্রেসের ‘বিক্ষুব্ধ’ অংশের নেতা হলেও আনন্দের মন্তব্যে জলঘোলা শুরু হয়। তারইমধ্যে পালটা দেন অধীর। চারটি টুইট করে রীতিমতো কড়া ভাষায় আনন্দকে বলেন, ‘তথ্য জানুন।’ সঙ্গে লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষ জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে সিপিআইএম ও বাম। যার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল কংগ্রেস। আমরা বিজেপির সাম্প্রদায়িক ও বিভেদমূলক রাজনীতি এবং একনায়কতন্ত্র শাসনের অবসান করতে বদ্ধপরিকর। কংগ্রেস নিজের আসনের পুরো ভাগ পেয়েছে। নয়া গঠিত ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট - আইএসএফকে নিজেদের কোটা থেকে আসন দিচ্ছে বামেরা। সিপিএমের নেতৃত্বাধীন ফ্রন্টের সিদ্ধান্তকে যে সাম্প্রদায়িক বলেছেন আপনি, তা আদতে বিজেপির মেরুকরণের পথ প্রশস্ত করছে।’