তাঁর গুড় বাতাসা—চড়াম চড়াম টোটকা মার্কেটে হিট ছিলই, এবারের নির্বাচনের আগে সেই ধারা অব্যহত রেখেই সংযোজন হয়েছে ‘খেলা হবে’। তাও সুপার ডুপার হিট রাজ্য–রাজনীতিতে।বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের এই বক্তব্যকে ঘিরে তাঁর দিকে হুমকির অভিযোগ তুলতে বাদ রাখেনি বিরোধীরা। সেই নিয়ে চিন্তিত অনুব্রত আবারও প্রকাশ্য জনসভায় করজোড়ে ক্ষমা চাইলেন। উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে মঞ্চ থেকেই হাত জোর করে তিনি বললেন, ‘যদি আমি কোনও অন্যায় করে থাকি, তাহলে তার শাস্তি যেন মমতা বন্দোপাধ্যায়কে দেওয়া না—হয়।’ কারণ হিসেবে তাঁর ব্যাখ্যা, ‘এই ভোটটা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভোট।’
উল্লেখ্য, শনিবার বোলপুরে কোয়াক ডাক্তারদের নিয়ে কর্মী সম্মেলনেও ‘জোড়হাতে’ ক্ষমা চাইতেও দেখা গিয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি বলেছিলেন, ‘যদি আমি কিছু ভুল বলে থাকি, তাহলে আমি হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আপনারাই ভগবান। আপনারাই আল্লা। আপনারা সবাই মিলে এই ভোটটা করিয়ে দেবেন।’ এদিন বীরভূমের আমোদপুরের জনসভা থেকে বাম সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি।
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ওপর বামেদের অত্যাচারের অভিযোগ তুলে অনুব্রত বলেন, ‘সেদিন ভয়ঙ্কর দিন ছিল, যেদিন মমতা বন্দোপাধ্যায়কে রাইটার্স বিল্ডিং থেকে চুলের মুঠি ধরে বের করে দেওয়া হয়েছিল। বারবার তাঁর ওপর আক্রমণ হয়েছে। এতকিছুর পরও একটানা ২৬ দিন অনশন করেছেন তিনি।’
এর পরই ক্ষমা চেয়ে অনুব্রত বলেন, ‘আমার আর কিছু বলার নেই। শুধু একটাই কথা বলব, আপনাদের হাতজোড় করে বলছি। বিজেপিকে একটাও ভোট দেবেন না। কারণ, এই ভোট অন্য কারও নয়, এটা তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভোট। আমি যদি কোনও অন্যায় করে থাকি, তাহলে তার শাস্তি যেন মমতা বন্দোপাধ্যায়কে না দেওয়া হয়। কারণ মমতা বন্দোপাধ্যায় কোনও অন্যায় করেননি।’