একেবার অচেনা মেজাজে দেখা গেল বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। আগের মতো তিনি স্লোগান দেননি—'চড়াম চড়াম ঢাক', 'গুড় বাতাসা', 'রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে'। বরং তাঁকে দেখা গেল হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতে। অনেকেই এই দৃশ্য দেখে বলছেন ভোট বড় বালাই। একই সঙ্গে তিনি জানান, যদি তিনি কোনও ভুল বলে থাকেন, তার জন্য যেন তাঁকে ক্ষমা করা হয়। শনিবার এই অচেনা ছন্দে বীরভূমের বোলপুরে হাতুড়ে ডাক্তারদের নিয়ে কর্মী সম্মেলন করেন অনুব্রত মণ্ডল। আর সেখানেই প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি।
শনিবার সভায় অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘আমি যদি কোনও ভুল করে থাকি, তাহলে আমি জোড়হাত করে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আপনারাই ভগবান। আপনারাই আল্লা। যাঁরা গ্রামীণ চিকিৎসক, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক, আপনারা সবাই মিলে এই ভোটটা করিয়ে দেবেন। আপনাদের কাছে জোড়হাত করে এই কথা বলছি।’ জেলা সভাপতির এই অবস্থা দেখে অনেকে বলছেন তাহলে কি বিজেপি জুজু দেখলেন উনি? উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের দু’জন প্রতিনিধি। তাতে স্বমেজাজে 'কেষ্ট' জানান, তাঁর উপর 'নজরদারি'-র জন্য ১০ জন লোক চাই।
তবে আট দফায় বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্র। তাই ২৯৪ দফায় ভোট হোক। তাতে আমার কিছু যায় আসে না। কিন্তু অমানবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও কারও না কারও বাড়ির ছেলে, ভাই বা দাদা। এই কাঠফাটা গরমে তারা কষ্ট পাবে। তাই আট দফায় নির্বাচন ঠিক নয়।’
এরপরই পুরনো মেজাজে ফিরে অনুব্রতর হুঁশিয়ারি, এই ভোটে খেলা হবেই। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, 'নির্বাচনের সময় আপনাকে কমিশন গৃহবন্দি করে দিলে কী হবে?' তখন তিনি পালটা বলেন, ‘আমি চোর না ডাকাত যে আমাকে ঘরবন্দি করবে? যত আইন সব আইন ওই দাড়িওয়ালার কাছে আছে? আমাদের কাছে কিছু নেই? সাধারণ মানুষ কি বোকা? ভোটের দিন বড় খেলা হবে।’