করোনা পরিস্থিতিতে বাংলায় সভা বাতিল করেছেন প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার বাংলায় চারটি সভা করার কথা ছিল তাঁর। সভা বাতিল নিয়ে টুইটও করেছেন তিনি। সেখানে উল্লেখ করেছেন ‘করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক রয়েছে। বাংলায় আসতে পারছেন না তিনি।’ এদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ভার্চুয়াল মাধ্যমে জনতার কাছে পৌঁছনর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু তাতে কী? করোনা পরিস্থিতিতে মোদীর সভা বাতিল নিয়েও তীব্র কটাক্ষের সুর অনুব্রতর গলায়।
ষষ্ঠ দফা ভোটের পর সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন,' সুন্দর ভোট হয়েছে। তিনটে সিট বিপুলভাবে জিতে গিয়েছি। যে ভোট হল আজকে একটাও ভোট বিজেপি পাবে না। নরেন্দ্র মোদী পালিয়ে গেল, অমিত শাহ পালিয়ে গেল। যা ভোট হয়েছে বিজেপি একটাও পাবে না। তার জন্য নরেন্দ্র মোদী সিউড়ির মিটিং ক্যানসেল করল। অমিত শাহ তিনটে মিটিং ছিল। একটা মিটিং করে পালিয়ে গেল। বুঝতে পেরেছে বাংলায় মমতা ব্যানার্জি ছাড়া অন্য কেউ নেই। বাংলার মানুষ মমতা ব্যানার্জিকে ভোট দেবেন।'
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এখানেই তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দায়িত্বশীলতা নিয়েই উঠছে বড় প্রশ্ন। শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, তৃণমূল নেত্রীও জমায়েত এড়ানোর পথে হাঁটছেন। কিন্তু এ কোন কথা অনুব্রতর মুখে? বাসিন্দাদের মতে, মূলত করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণ এড়ানোর জন্যই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা সভা বাতিল করছেন। কমিশনও এব্য়াপারে কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। কোনওভাবেই যাতে আমজনতাকে সংকটে ফেলা না হয়ে সেজন্যই জমায়েত, রোড শো, পদযাত্রার উপর রাশ টানা শুরু হয়েছে। এসবের মধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের এই ধরণের মন্তব্যকে ঘিরে সমালাচনার ঝড় বিভিন্ন মহলে। অনেকেই বলছেন সংকটের দিনে এই মন্তব্য কুরুচিপূর্ণ।