তড়িঘড়ি কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছে বিতর্কে জড়ালেন বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র। বরং উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি জানালেন। সেইসব কোনও রাখঢাক করলেন না বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোট পাওয়ার ঘটনাকে 'নাটক' বললেন তিনি। দাবি করলেন, ভোটে হারবেন জেনে সহানুভূতি নিতে 'নাটক' করছেন মমতা। একইসুরে অভিযোগ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
অর্জুন কটাক্ষ করেন, মুখ্যমন্ত্রী তো রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী। তিনি যেখানে যান, তার দু'কিলোমিটার আগে থেকেই গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। যদি কেউ ধাক্কা মেরে থাকেন, তাহলে তাঁর ফাঁসি হওয়া উচিত। সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, মমতা আগেও মিথ্যা কথা বলেছেন। এখন হারবেন জেনে মিথ্যা কথা বলে সহানুভূতি কুড়ানোর জন্য নাটক করছেন। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদের কথায়, ‘তালিবানরা কি তাঁর কনভয়ে হামলা চালিয়েছে? তাঁর সঙ্গে পুলিশ বাহিনী থাকে। তাঁর কাছে কে যেতে পারেন? চারজন আইপিএস অফিসার তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন। তাঁদের অবিলম্বে বরখাস্ত করা উচিত। উনি সহানুভূতির জন্য নাটক করছেন।’
যদিও বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। তিনি যে অভিযোগ করেছেন, তা অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ। উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে তদন্ত করা উচিত।’ মমতার দ্রুত আরোগ্য কামনা করলেও রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দাবি করেন, সহানুভূতির করার চেষ্টা করতে পারেন মমতা। রাজ্যে কারও ক্ষমতা নেই মমতার উপর আক্রমণ করার। তবে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন।
মমতার চোটের আগে কয়েক ঘণ্টা বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোট দেওয়ার জন্য সাদা পোশাকের পুলিশ মানুষকে হুমকি দিচ্ছে। তা নিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে যায় বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। বিজেপি নেতারা দাবি করেন, মমতা যখন মনোনয়নপত্র জমা দিতে চান, তখন তাঁর সঙ্গে একাধিক পুলিশকর্মী গিয়েছিলেন। তা নিয়ে কমিশনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।