আজ তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজই দেশজুড়ে ধর্ণায় বসেছে বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরপরই রাজ্যে হিংসার বাতাবরণে তৈরি হয়েছে। কয়েকদিন ধরে লাগাতার হিংসা শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। বিজেপি নেতা–কর্মী–সমর্থকদের উপর আক্রমণ নেমে আসছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। তিনি বলেন, ‘আমরা শপথ নিয়েছি নিজেদের দায়িত্ব পালনের জন্য। জনগণের রায় আমরা খুশির সঙ্গে গ্রহণ করেছি এবং বিরোধী হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করব। রাজ্যজুড়ে হিংসা বেড়েছে। সেখানে আমরা আমাদের দায়িত্ব থেকে কোনওভাবেই সরে আসব না।’ ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের কাছে একাধিকবার ডেপুটেশন দেওয়ার পরেও হিংসা থামার কোন লক্ষণ নেই! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সবিস্তারে রিপোর্ট পাঠাতে বলেছে বলে খবর।
এদিন হেস্টিংসের বিজেপি অফিসে ধর্ণা, শপথগ্রহণ কর্মসূচি পালন করা হয়। মঙ্গলবার সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা রাজ্যে এসেছেন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং তিনি দেখে আতঙ্কিত হয়ে বলেন, ‘এভাবে কি গণতন্ত্রের জয়ের উল্লাস পালন করা যায়!’ আজ যাঁরা ভারতীয় জনতা পার্টির জনপ্রতিনিধি হিসেবে জয়ী হয়েছেন তাঁদেরকে নিয়ে বিজেপির হেস্টিংস অবশেষে শপথবাক্য পাঠ করানো হয়েছে! ইতিমধ্যেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছেন। এমনকী আজ শপথ অনুষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত থেকেছেন।
বুধবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এই হিংসা যাতে অবিলম্বে বন্ধ হয় তার জন্য তিনি বলেন, ‘যাঁদের অন্যকে রক্ষা করার কথা ছিল তাঁরাই এই হিংসার জন্য দায়ী। তাই বাংলায় হিংসা রুখতে আমরা শপথ নিয়েছি। এটা গণতান্ত্রিক অধিকার।’ আজ গান্ধী মূর্তি পাদদেশে ধর্না অবস্থান করার কথা ছিল! রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বকে পুলিশ কার্যত অনুমতি না দেওয়ায় তারা বিজেপি রাজ্য দফতরের সামনে মঞ্চ বেঁধে তাদের কর্মসূচি পালন করে। এই মুহূর্তে উপস্থিতি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ একাধিক নেতারা।