বুধবার ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির সভা থেকে তৃণমূল নেত্রীর নিশানায় সিপিএম নেতা তথা শিলিগুড়ির সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য। সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শিলিগুড়িতে অশোক ভট্টাচার্যই বার বার জয়ী হন। এবার ওমপ্রকাশ মিশ্র জয়ী হলে তিনি সেখানকার উন্নয়নে সরাসরি যুক্ত হবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্ষেপ, শিলিগুড়িতে তৃণমূল কাজ করে, কিন্তু ভোট পায় সিপিএম। অশোক ভট্টাচার্যকে নিশানা করে তৃণমূল নেত্রীর দাবি,, শিলিগুড়িতে তিনি কিছুই করেননি। তাও তিনি সেখানে ভোট পান। এবার আর ভুল না করে তৃণমূলের পক্ষে রায় দেওয়ার জন্য তিনি সাধারন মানুষকে আহ্বান করেন।
ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী গৌতম দেব। সেখানেই সভা করেন তৃণমূল নেত্রী। ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির ওই সভাতে উপস্থিত ছিলেন পাশের শিলিগুড়ি কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ওমপ্রকাশ মিশ্র। কার্যত অশোক ভট্টাচার্যের মতো কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে তাঁকে। অন্যদিকে এবার শিলিগুড়ি আসনে বিজেপির প্রার্থী শঙ্কর ঘোষ। তিনি দিন কয়েক আগেও ডিওয়াইএফআই নেতা হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। তার চেয়েও বড় কথা তিনি ছিলেন অশোক ভট্টাচার্যের ছায়াসঙ্গী। বিজেপিতে যোগদান করার পরে তিনিই লড়ছেন অশোক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। কার্যত গুরু শিষ্যের লড়াই। তবে এবার এই রাজনৈতিক সমীকরণ সামলে কতটা গড়া রক্ষা করতে পারবেন অশোক ভট্টাচার্য সেদিকেও তাকিয়ে রয়েছে গোটা বাংলা।
শিলিগুড়িবাসীর একাংশের মতে ২০১১তে সবুজ ঝড়ে ফাটল ধরেছিল শিলিগুড়ির লাল দুর্গে। পরাজিত হয়েছিলেন অশোক ভট্টাচার্য। এরপর ২০১৬তে এর চেয়েও বড় লড়াই লড়ে জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন অশোক ভট্টাচার্য। বাম আমলে পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরের পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতরেরর মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তৃণমূল জমানাতেও শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের মেয়র ছিলেন তিনি। সেই পদে থাকাকালীনও উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বার বার অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন অশোক ভট্টাচার্য। গোটা রাজ্য জুড়ে বামেরা ক্ষয়িষ্ণু হয়ে গেলেও শিলিগুড়িতে এখনও ব্য়ক্তি অশোক ভট্টাচার্যের গ্রহণযোগ্যতা যথেষ্ট বলেই অনেকের মত। এবার সেই অশোক ভট্টাচার্য কেন এত ভোট পান তা নিয়েই কার্যত প্রশ্ন তুলে দিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী।