মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলা বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মহম্মদ আলির প্রচার থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কেন্দ্র চাইছে ২ মে নির্বাচন পর্ব মিটলেই লকডাউন ঘোষণা করে দিতে। এমন পরিস্থিতি আবার এলে বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার দায় নেবে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। সুতরাং কেন্দ্রীয় সরকার এমন করতে পারে বলে আগাম জনগণকে সতর্ক করলেন তিনি বলে মনে করা হচ্ছে।
এই নির্বাচনী সভা থেকে একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রকে বিঁধলেন তিনি এবং লকডাউন নিয়েও সতর্ক করে বলেন, ‘নির্বাচনের পরই দেশজুড়ে হবে লকডাউন। নির্বাচনের অপেক্ষায় বসে আছে কেন্দ্র। আগে যেভাবে হোক বাংলা দখল করবে। তার পরই লকডাউন করবে ওরা। লকডাউন হলে বিনেপয়সায় খাদ্য পৌঁছে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি না থাকলে বিনে পয়সায় স্বাস্থ্য, খাদ্য কিছু পাবেন না সাধারণ মানুষ।’
এদিন অভিষেকের কথায়, ‘উনি ভোটের প্রচারে এসে বারবার বলছেন, রাজ্যে বেআইনি অনুপ্রবেশ ঘটছে। সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্ব কার? আন্তর্জাতিক সীমান্ত সামলান বিএসএফ জওয়ানরা। তাঁরা তো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন। তাহলে বেআইনি অনুপ্রবেশ হলে দোষ কার? এই ইস্যুতে তো আপনার ইস্তফা দেওয়া উচিত’। এখানে নাম না করলেও ইঙ্গিত যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকেই তা পরিষ্কার।
অভিষেক সভা মঞ্চে দাঁড়িয়ে এদিন বলেন, ‘কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপির হাত শক্তিশালী করা। ১০ বছর ধরে মানুষের পাশে থেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষের মাথায় কখনও ঋণ চাপাননি। গ্যাসের দাম ৯০০ টাকা। সরষের তেলের দাম মাত্রা ছাড়িয়েছে। প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম আকাশছোঁয়া। একবারও সংসদে দাঁড়িয়ে এগুলোর প্রতিবাদ করেননি অধীর চৌধুরী। কারণ, কংগ্রেস বিজেপির সবচেয়ে বড় শাগরেদ। কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপির হাত শক্তিশালি করা। বিজেপি শুধু ভাষণ দেয়। ওঁরা পরিযায়ী। ভোটের সময় আসে। আর সারা বছর বিপদে পাশে থাকে তৃণমূল কংগ্রেস।’