নির্বাচনে ফলাফল পরিষ্কার হতেই টুইট করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। এদিন তিনি টুইটে লেখেন, ‘মোদী–শাহ–বিজেপি–ইডি–সিবিআই–নির্বাচন কমিশনের যৌথ প্রয়াস দিদি–অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়–তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের প্রচেষ্টার কাছে ডাহা ফেল করেছে।’ এদিকে বিজেপির শত স্ট্র্যাটেজিও কাজে এল না। তাই ডেরেক টুইটে লেখেন, বিশ্বের সবথেকে ধ্বংসাত্মক শক্তি মোদী–শাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। এটা আজ আবেগের দিন।
বাংলা এবার কার? এই প্রশ্ন রাজ্য–রাজনীতিতে সকাল থেকে উঠছিল। আর বেলা গড়াতে স্পষ্ট হয়ে গেল আগামী পাঁচ বছর বাংলার শাসনক্ষমতা থাকছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই। এই ইঙ্গিত পেতেই ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইটে কার্যত তীব্র শ্লেষের সুরে বিজেপিকে বিঁধলেন। তিনি লেখেন, ‘মিথ্যে প্রচার এবং নির্লজ্জ নির্বাচন কমিশন কাজ সবাই দেখেছে। এটা অত্যন্ত মুহূর্তপূর্ণ দিন ভারত এবং বাংলার কাছে।’ তবে হাওয়া বুঝে বিজেপি নেতাদের দেখা যাচ্ছে না।
বিধানসভা নির্বাচনের এই ফলাফলে বিজেপি নেতৃত্বের কার্যত মুখ পুড়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে টিপ্পনি অস্বাভাবিক নয়। আর সেই কাজটাই প্রথম শুরু করে দিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। বাংলা যেমন করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, তেমনই রাজ্যবাসীর প্রতিও দায়িত্ব পালন করেছে, তাও বুঝিয়েছেন তিনি। এখন এই মুহূর্তে বিজয় মিছিল করছে না তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এই ফলাফল কেন হল, তা জানতে চেয়েছেন অমিত শাহ রাজ্য নেতৃত্বের কাছে।