ডুমুরজলায় বিজেপি–র বিশাল যোগদান মেলার জনসভা সেরে ফেরার পথে আক্রান্ত হলেন কর্মী–সমর্থকরা। অভিযোগের আঙুল উঠেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে প্রথমে সলপের কাছে বাস ভাঙচুর ও পরে বাঁকড়ায় কর্মীদের ওপর মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন ৪ বিজেপি কর্মী। তাঁরা এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিন ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে নির্দিষ্ট সময়ের থেকে কিছুটা দেরিতে শুরু হয় বিজেপি–র যোগদান মেলা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, সদ্য বিজেপি–তে যোগ দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীরা বক্তব্য রাখেন। ভার্চুয়াল মাধ্যমে সভায় বক্তব্য রেখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিকেলের মধ্যে শেষও হয়ে যায় এই মেগা জনসভা। সমস্যা দেখা দেয় সভা শেষের পর।
সভা সেরে বাড়ি ফেরার পথে দলের কর্মী, সমর্থকদের ওপর অতর্কিতে হামলা চলে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, বাঁকড়ার কাছে দল বেঁধে কয়েকজন আক্রমণ করে বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের ওপর। অভিযোগ, তাদের হাতে তৃণমূলের পতাকা ছিল। এ ঘটনায় চারজন জখম হন। তিনজনের নাম পাওয়া গিয়েছে। তাঁরা হলেন রণজিৎ সিং, রানা বিশাল সিং ও কুণাল সিং। তাঁদের উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক শিবির। হাওড়া জেলা সদর তৃণমূল সভাপতি ভাস্কর ভট্টাচার্যর দাবি, ‘তৃণমূল এদিন এক শান্তিপূর্ণ মিছিল করে। বিজেপি–র ওপর কোনও হামলা চালানো হয়নি। মাঠ ভরাতে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে লোকজন এনেছে বিজেপি। তাদের মধ্যে অশান্তি হয়েছে।’ পাশাপাশি বাঁকড়া ফাঁড়ির পুলিশের দাবি, ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এক পথচারীকে একটি বাইক ধাক্কা দিলে গন্ডগোল বাধে। সেখান থেকেই হাতাহাতি হয়েছে।