আজানিয়া। বঙ্গের রাজনীতিতে এই নামটার সঙ্গে পরিচিত নন অনেকেই। তবে অভিষেক কন্যা বললে অবশ্য চেনা চেনা লাগবে অনেকেরই। এই তো ২৩শে ফেব্রুয়ারি।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে এসেছিল সিবিআইয়ের টিম। বাবা অভিষেকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ। সেই দিন একরত্তি মেয়েটাকে দেখা গিয়েছিল মমতার গাড়ি পর্যন্ত আসতে। মমতার স্নেহের হাত ছিল তার পিঠে। গোটা বাংলা সেদিন দেখেছিল উদ্বেগের দিনেও স্নেহ, ভালোবাসায় মোড়া অগ্নিকন্যার আর এক অনন্য রূপ। কিন্তু কোথাও যেন অসম্পূর্ণ ছিল বৃত্তটা। আর ২রা মে বাংলার বিজয় মঞ্চে সম্পূর্ণ হল সেই বৃত্তটা। এদিনও মমতার পাশে দেখা গেল সেই ছোট্ট মেয়েটাকে। ২রা মে মন ছুঁয়ে যাওয়া এক ফ্রেমের সাক্ষী থাকল বাংলা। গোটা বাংলা যখন জয়ের আনন্দে ভাসছে, স্থানীয়, জাতীয়, আন্তর্জাতিক মিডিয়ার ক্যামেরা যখন ফ্রেমে ধরার চেষ্টা করছে বাংলার অগ্নিকন্যাকে, তখনই তার পাশে দেখা গেল এক একরত্তিকে। কখনও কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে ছোট্ট মেয়েটা। কখনও হাতে জয়ের ভিকট্রি সাইন ভোটের ফলাফল নিয়ে সবে টেনশন কাটিয়ে উঠেছেন অনেকেই। তখনই ঘরে ঘরে গুঞ্জন, কে এই একরত্তি মিষ্টি মেয়ে?
আসলে সেই যে ভবানীপুরের বাড়ির সামনে দেখা ছোট্ট মেয়েটা, সেদিনের বই দিয়ে মুখ ঢাকা সেই ছোট্ট মেয়েটা, সেই তো ছোট্ট ছোট্ট পায়ে এদিন এসে দাঁড়িয়েছেন মমতার পাশে। ‘আজানিয়া’। খুশিতে উজ্জ্বল একটা মুখ। হাতে ভিকট্রি সাইন। আকাশের দিকে ছুঁড়ে দেওয়া দুটি হাত। ছোট্ট ছোট্ট দুটি আঙুল যেন বলতে চাইছে আমরা জিতে গিয়েছি। জিতে গিয়েছেন বাংলার লক্ষ লক্ষ মানুষ। জিতে গিয়েছে লক্ষ মানুষের স্বপ্ন। আবার বাংলার মসনদে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার বাংলার মেয়েকেই চাইলেন বাংলার মানুষ। আর সেই জয়ের দিনেও মমতার পাশে একই ফ্রেমে আজানিয়া। এই ফ্রেম দেখে অনেকেরই প্রশ্ন, রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ রচনা, রাজনৈতিক উত্তরাধিকারের পথ কি তৈরি হয় এভাবেই?