বিজেপি টালিগঞ্জ থেকে প্রার্থী করেছে সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে। তাঁর প্রতিপক্ষের নাম অরূপ বিশ্বাস। তিনি রাজ্যের মন্ত্রীও বটে। এলাকায় জনপ্রিয় নেতাও বটে। সুতরাং এখানে একপ্রকার কেন্দ্র–রাজ্য লড়াই বলা যেতে পারে। প্রথম দফার ভোট শুরু হতে আর একসপ্তাহ বাকি। এই পরিস্তিতিতে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। তাও আবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রাক্তন কেন্দ্র ভবানীপুরে। সেটা অনেকটা স্বাভাবিক। কারণ এখানে মুখ্যমন্ত্রী জনপ্রিয়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা শুনতে প্রস্তুত নয় মানুষজন। তবে এই সাংসদকে বাধা দেওয়ার ঘটনায় যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক ওয়াসিম আহমেদের দিকে অভিযোগে আঙুল তুলেছেন তিনি। আর এই অভিযোগের পরেই রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।
বাবুল সুপ্রিয় আসানসোল থেকে দু’বারের জয়ী সাংসদ। আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও বটে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি টালিগঞ্জ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। প্রার্থীতালিকা ঘোষণা পর প্রচারেও নেমে পড়েছেন বাবুল। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে প্রচারে বেরিয়ে দলের কর্মী–সমর্থকদের নিয়ে ভবানীপুরের ধাবায় গিয়েছিলেন। গাড়ি থেকে নামার পরেই তাদের ঘিরে ধরেন তৃণমূল কংগ্রেস যুবর সদস্যরা। গাড়ি ধরে স্লোগান দিতে থাকেন। এই গোটা ঘটনায় নেতৃত্ব দেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক ওয়াসিম আহমেদ।
এদিন স্লোগানও ওঠে বাবুলের বিরুদ্ধে। সোচ্চার হয়ে সবাই বলতে শুরু করেন, ‘বাবুল সুপ্রিয় সবার অপ্রিয়’। এই বিষয়ে বাবুল সুপ্রিয়র প্রতিক্রিয়া, ‘এই ঘটনা প্রমাণ করে গুন্ডামি আর গণ্ডগোল পাকানোই তৃণমূল কংগ্রেসের আসল চরিত্র। যেখানে কোনওরকম সৌজন্যতার ছিঁটেফোটাও নেই। সবই ২ মে শেষ হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বাংলায় পরিবর্তন আসবে। বিকাশের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।’ এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন।