রানিকুঠিতে দলীয় কার্যালয়ে এক যুবককে চড় মেরে বিতর্কে জড়ালেন বাবুল সুপ্রিয়। সেই দৃশ্য মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদিও টালিগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী দাবি করেন, গোলমাল পাকানোর জন্য অনুষ্ঠানে লোক ঢুকিয়ে দিয়েছে। সেইসঙ্গে কয়েকজন ‘বিভীষণ' ও 'মীরজাফর’ও আছেন বলে দাবি করেন বাবুল।
দোলের দিন রানিকুঠিতে বিজেপির কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন বাবুল। তারই ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময় সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বাবুলকে উদ্দেশ করে এক যুবক বলেন, ‘ছবি তুলে কিছু হবে না। এখানে লড়তে হবে।’ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার ফাঁকেই হিন্দিতে বাবুল পালটা বলেন, ‘আরে ভাই চুপ কর। অনেক বড় নেতা হয়ে গিয়েছ?’ তাতেও থামেননি ওই যুবক। বলেন, ‘সত্যি কথাই বলছি।’ বারবার ‘চুপ থাকতে’ বলেন বাবুল।
তারইমধ্যে ধূসর রঙের টি-শার্ট পরা ওই যুবককে নিয়ে দলের কার্যালয়ের মধ্যে ঢুকে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। গেটের সামনে ওই যুবককে চড় মারেন তিনি। যুবকের সানগ্লাস খুলে পড়ে যায়। পরে বাবুল অবশ্য তৃণমূল এবং ‘বিভীষণ' ও ‘মীরজাফর’-দের দিকে আঙুল তোলেন। বলেন, ‘এই ভিড়ের মধ্যে তৃণমুলের অনেক ছেলেকে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক এদিক-ওদিক থেকে ঢুকেছে। এখন যে পার্টিতে সোয়াপ হচ্ছে (দল পরিবর্তন হচ্ছে), ফোন ট্যাপিং চলছে।’ সঙ্গে বলেন, ‘তৃণমূলের ছেলেরা আমাদের মধ্যে এবং তারা গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে, এটা কনফার্ম (নিশ্চিত)।’
যদিও বাবুলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের খেয়েদেয়ে কাজ নেই, বিজেপিতে লোক ঢোকাতে যাবে কেন? বিজেপি তো যোগদান মেলা করে লোক নিচ্ছে।’ কুণালের দাবি, টালিগঞ্জের বিজেপি কর্মীরাই বাবুলকে প্রার্থী হিসেবে চাইছেন না।
তবে শুধু তৃণমূলের দিকে অভিযোগ তোলেননি বাবুল। ‘বিভীষণ' ও ‘মীরজাফর’-দেরও সন্দেহের তালিকায় রেখেছেন। বাবুলের কথায়, 'এর মধ্যে কিছু বিভীষণ আছে, কিছু মীরজাফরও আছে। তারা কে, কিছু লোককে চিহ্নিত করা যাচ্ছে, কিছু লোককে করা যাচ্ছে না। কিছু লোক উদ্দেশপ্রণোদিতভাবে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে।' যদিও ‘বিভীষণ' ও ‘মীরজাফর’ বলতে কাদের বুঝিয়েছেন, সে বিষয়ে মুখ খোলেননি বাবুল।