নির্বাচনের আগেই তাল কেটেছিল। এর জেরে বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে যান শোভন চট্টোপাধ্যায়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন বার্তা পাঠান বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরই দুই বন্ধুর তৃণমূলে ফেরা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি ভাঙা পা নিয়ে মমতার জয়কে আলাদা ভাবে প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি। এছাড়া শোভনের নিরাপত্তা প্রত্যাহার না করায় তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশও করেন বৈশাখী।
বৈশাখীর কথায়, নন্দীগ্রামে মমতার হার হার আসলে হার নয়। তৃণমূলের ভাষাতেই বৈশাখী বলেন, ২৯৪ আসনেই প্রার্থী মমতা ছিলেন। তাছাড়া নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে মমতার লড়াইটাই একটা দয়।
উল্লেখ্য, দু'শোর বেশি আসন পেয়ে আবারও ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল। রাজ্যজুড়ে কার্যত সবুজ ঝড় বয়ে গিয়েছে। ভোটের আগে রাজ্য ও জেলাস্তরের অনেক নেতাই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে দিয়েছিলেন। গত চার-পাঁচ বছরে গেরুয়া শিবিরে গিয়েছেন অনেক হেভিওয়েট নেতারাও। তাঁদের প্রার্থীও করেছিল দল। তবে জেতেননি অধিকাংশ। এদিকে নির্বাচনের আগে বিজেপি ছেড়েছিলেন শোভন-বৈশাখী। এই নেতাদের ভবিষ্যত্ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এই আবহে এদিন মমতা জানান, তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতারা যদি ফের তৃণমূলে ফিরতে চান, তবে তাঁদেরকে দলে স্বাগত জানানো হবে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আসুক না, আসলে স্বাগত।' আর মমতার আহ্বানের পরই বৈশাখীর মুখে মমতা বন্দনা জল্পনা বাড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।