এই আসনে তৃণমূল প্রার্থী রাজীব লোচন সোরেন ৪৭.০২ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির পার্সি মুর্মু পেয়েছেন ৩৯.২১ শতাংশ ভোট।
এই কেন্দ্রটি তফসিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। বান্দোয়ান কেন্দ্রে এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাজীব লোচন সোরেন। বিজেপির তরফ থেকে দাঁড়াচ্ছেন পার্সি মুর্মু। অন্য দিকে, অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিএমের সুশান্ত বেসরা।
১৯৫৬ সালে পূর্বতন বিহার রাজ্যের মানভূম জেলার সদর মহকুমা পুরুলিয়া জেলা নামে বাংলায় অন্তর্ভুক্ত হয়। সেই থেকে এই জেলা এই রাজ্যের অঙ্গ। জেলার পূর্ব সীমান্তে পূর্ব বর্ধমান জেলা, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রাম জেলা এবং অপর তিনদিকে ঝাড়খণ্ড রাজ্য। বান্দোয়ান এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। ২৭ মার্চ প্রথম দফায় ভোট হয়েছে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রাজীব লোচন সোরেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১০৪,৩২৩৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বাম প্রার্থী সুশান্ত বেসরা৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৮৪,০১৬ হাজার৷ তৃতীয় স্থানে ছিলেন লবসেন বাস্কে৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১৪,৩৭১৷ ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রয়েছে এই বিধানসভা কেন্দ্রটি৷ ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী কুনার হেমব্রম এই আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বীরবাহা সোরেন৷ ২০১১ সালের নির্বাচনে সিপিআইএমের সুশান্ত বেসরা কংগ্রেসের শীতলচন্দ্র হেমব্রমকে পরাজিত করেছিলেন।
২০০১ ও ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের উপেন্দ্রনাথ হাঁসদা বান্দোয়ান (তফসিলি উপজাতি) বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। বিজেপির কমলাকান্ত মান্ডি ও জেএমএম—এর বীরসিং মুর্মুকে পরাজিত করেছিলেন। সিপিআইএমের লক্ষ্মীরাম কিস্কু ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের শীতলচন্দ্র হেমব্রম এবং ১৯৯১ সালে জেএমএমের বীরসিং মুর্মু ও ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের রামপ্রসাদ হাঁসদাকে পরাজিত করেছিলেন। সিপিআইএমের সুধাংশুশেখর মাজি ১৯৮২ সালে নির্দলের পঞ্চানন সোরেনকে ও ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের বুদ্ধেশ্বর মাজিকে পরাজিত করেছিলেন। ওদিকে কংগ্রেসের শীতলচন্দ্র হেমব্রম ১৯৭২ ও ১৯৭১ সালে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৯ সালে কংগ্রেসের বুদ্ধেশ্বর মাঝি জয়ী হয়েছিলেন। নির্দলের লোক সেবক সংঘের কান্দ্রু মাঝি ১৯৬৭ ও ১৯৬২ সালে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬২ সালের আগে বান্দোয়ান কেন্দ্রে আসন ছিল না।