এই কেন্দ্রে এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন খোকন দাস। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন সন্দীপ নন্দী। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিআইএমের পৃথা তা।
২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল বর্ধমান জেলা বিভক্ত হয়ে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা গঠিত হয়।পূর্ব বর্ধমান মূলত কৃষি প্রধান জেলা। একে পশ্চিম বঙ্গের শস্যভাণ্ডার বলা হয়। জেলার বৃহত্তম শহর বর্ধমান। ধান এই জেলার প্রধান ফসল। এছাড়া পাট, আলু, পেঁয়াজ, আখ হয়। বর্ধমানে দু’টি বিধানসভা কেন্দ্র - বর্ধমান উত্তর ও বর্ধমান দক্ষিণ। যা আগে বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ছিল।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯১ হাজার ৮৮২৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী আইনুল হক। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৬২ হাজার ৪৪৪৷ তৃণমূল প্রার্থী রবীরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম প্রার্থী আইনুল হককে ২৯ হাজার ৪৩৮ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।
২০১১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএমের নিরূপম সেনকে পরাজিত করেছিলেন। ২০০১ ও ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের নিরুপম সেন বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের সমীরকুমার রায় ও পরেশচন্দ্র সরকার উভয়কেই পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে সিপিআইএমের শ্যামাপ্রসাদ বোস কংগ্রেসের সাধনকুমার ঘোষ ও শ্যামদাস বন্দোপাধ্যায় উভয়কে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮৭ সালে সিপিআইএমের নিরুপম সেন কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্যকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮২ ও ১৯৭৭ সালে সিপিআইএমের কৌস্তভ রায় কংগ্রেসের শ্যামদাস বন্দোপাধ্যায় ও প্রদীপ ভট্টাচার্য উভয়কে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৭১ ও ১৯৬৯ সালে সিপিআইএমের বিনয় চৌধুরী এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৭ সালে কংগ্রেসের এস.বি. চৌধুরী বর্ধমান দক্ষিণ আসনে জিতেছিলেন।