বড়জোড়া বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন অলোক মুখোপাধ্যায়। এই আসনে লড়ছেন বিজেপির প্রার্থী সুপ্রীতি চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিএমের সুজিত চক্রবর্তী।
বাঁকুড়া জেলার উত্তরে ও পূর্বে রয়েছে যথাক্রমে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান। দক্ষিণে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর। আর দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে হুগলি। এছাড়াও পশ্চিমে পুরুলিয়া জেলা রয়েছে। বাঁকুড়া ও বর্ধমান এই দু’টি জেলাকে পৃথক করেছে দামোদর নদ। বাঁকুড়ার পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভাগের জমি নিচু ও উর্বর পলিমাটিযুক্ত। পশ্চিম ভাগের জমি ধীরে ধীরে উঁচু হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় বড়জোড়ায় ভোট হবে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী সুজিত চক্রবর্তী এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোটসংখ্যা ছিল ৮৬,৮৭৩৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সোহম চক্রবর্তী৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ছিল ৮৬ হাজার ২৫৭৷ সিপিএম প্রার্থী সুজিত চক্রবর্তী তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী সোহম চক্রবর্তীকে ৬১৬ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।
১৯৯৬,২০০১ ও ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের সুস্মিতা বিশ্বাস বড়জোড়া কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। এই আসনে ১৯৯১ সালে সিপিআইএম প্রার্থী জয়শ্রী মিত্র কংগ্রেসের সব্যসাচী রায় ও ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের সুধাংশু শেখর তিওয়ারিকে পরাজিত করেছিলেন।
১৯৮২ সালে সিপিআইএমের বিহারীলাল ভট্টাচার্য পরাজিত করেছিলেন কংগ্রেসের সুধাংশুশেখর তিওয়ারিকে।১৯৭৭ সালে সিপিআইএমের অশ্বিনীকুমার রাজ কংগ্রেসের সুধাংশু শেখর তিওয়ারিকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭২ সালে আবার কংগ্রেসের সুধাংশুশেখর তিওয়ারি এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ওদিকে বাম প্রার্থী অশ্বিনীকুমার রাজ ১৯৬৯ ও ১৯৭১ সালে এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৭ সালে কংগ্রেসের এ.চট্টোপাধয়্যায় বড়জোড়া আসনে জয়ী হয়েছিলেন। আবার ১৯৬২ সালে সিপিআইয়ের প্রমথ ঘোষ সংশ্লিষ্ট আসনে জয়ী হয়েছিলেন। তবে ১৯৫৭ সালে বড়জোড়া কেন্দ্রে আসন বিদ্যমান ছিল না। স্বাধীনতার পরে দেশের প্রথম নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রফুল্লচন্দ্র রায় বড়জোড়া কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন।