মহারাষ্ট্রে শিবসেনা ব্যালটে ভোট করার প্রস্তাব আনতে চলেছে বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে বাংলায় একই আওয়াজ উঠল। এই আওয়াজ উঠেছে হুগলির ফুরফুরা শরিফের অন্তর্গত পশ্চিমবঙ্গ ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। আগামী এপ্রিল–মে মাসের বিধানসভা নির্বাচন ইভিএমের পাশাপাশি ব্যালট পেপার রাখা হোক ভোটের জন্য বলে তাদের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়েছে।
এই বিষয়ে সংগঠনের চেয়ারম্যান মহম্মদ ইয়াহিয়া বলেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এবং বিধানসভা সদস্যদের কাছে আবেদন করছি, সংবিধানের ৩২৮ ধারাকে ব্যবহার করে আইন আনতে। যাতে ভোটাররা ইভিএমের পাশাপাশি ব্যালট পেপারে ভোট দিতে পারেন। কেউ যদি ইভিএমে ভোট দিতে না চান, তাহলে তিনি ব্যালট পেপারে ভোট দিতে পারবেন।’
কী আছে ৩২৮ ধারায়? সংবিধানের এই ধারায় কয়েকটি সুযোগ রয়েছে। এখানে বলা আছে, রাজ্য চাইলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আইন নিয়ে আসতে পারে। নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তা করতে পারে। এই ধারাটিই এবার তুলে ধরেছেন ইমাম সংগঠনের চেয়ারম্যান। মঙ্গলবার এখানে কম্বল বিতরণ করেছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
এই ব্যালট পেপারের ইস্যুতে পীরজাদা জিয়াউদ্দিন সিদ্দিকি বলেন, ‘আমি ইমামদের সমর্থন করছি। যদি ইউরোপ–আমেরিকায় মানুষ ব্যালট পেপারে ভোট দিতে পারেন, তাহলে মেশিনের কী প্রয়োজন? মানুষকে এই বিকল্প সুযোগ দেওয়া উচিত।’ উল্লেখ্য, ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, বাংলায় মুসলিম সংখ্যা রয়েছে ২৭.০১ শতাংশ। এখন তা বেড়ে ৩০ শতাংশ হয়েছে। বিধানসভা ভোটের ১২০টি আসনে প্রভাব ফেলতে পারে।
বিভিন্ন জেলায় যে শতাংশ রয়েছে তা এরকম—মুর্শিদাবাদ (৬৬.২৮%), মালদহ (৫১.২৭%), উত্তর দিনাজপুর (৪৯.৯২%) দক্ষিণ ২৪ পরগণা (৩৫.৫৭%)। ফলে এই পরিসংখ্যান প্রভাব ফেলতে পারে। এই বিষয়ে প্রথমসারির এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে ভোট করাবে নির্বাচন কমিশন। বিষয়টির আইনি দিক আছে।’ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এই দাবিকে স্বাগত জানিয়েছেন।