এই বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন অর্ধেন্দু মাইতি। অপরদিকে এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মাইতি। বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন কংগ্রেসের শিউ মাইতি।
মেদিনীপুর বিভাগের একটি জেলা পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলার উত্তরে পশ্চিম মেদিনীপুর ও হাওড়া রয়েছে। পূর্বে হুগলি নদী ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। আরও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ওড়িশা অবস্থিত। ভগবানপুর এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। আগামী ২৭ মার্চ প্রথম দফায় ভগবানপুরে ভোট হবে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী অর্ধেন্দু মাইতি৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ১১১,২০১৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন কংগ্রেসের হিমাংশু শেখর মহাপাত্র৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৭৯, ২৫৮৷ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের হিমাংশুশেখর মহাপাত্রকে ৩১,৯৪৩ ভোটে পরাজিত করেন তৃণমূলের প্রার্থী অর্ধেন্দু মাইতি।
২০০১ ও ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী অর্ধেন্দু মাইতি ভগবানপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন যথাক্রমে সিপিএমের গৌরকান্তি বল ও প্রশান্ত। ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের অজিত খাঁড়া বামপ্রার্থী প্রশান্ত প্রধানকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের অশোক্তারু পাণ্ডাকে এই আসনে হারিয়ে দিয়েছিলেন সিপিআইএমের প্রশান্ত প্রধান। ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের হরিপদ ও ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের রামকৃষ্ণ সরকারকেও পরাজিত করেছিলেন প্রশান্ত। ১৯৭৭ সালে সিপিএমের প্রশান্ত প্রধানকে ভগবানপুর আসন থেকে পরাজিত করেছিলেন জনতা পার্টির হরিপদ জানা। ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের অমলেশ জানা এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের নির্বাচনে ভগবানপুর আসনে জয়ী হয়েছিলেন বামপ্রার্থী প্রশান্তকুমার প্রধান। ১৯৬২, ১৯৬৭ ও ১৯৬৯ সালে টানা এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেসের আভা মাইতি। ১৯৫৭ সালে ভগবানপুর যৌথ আসন ছিল। পিএসপির বসন্তকুমার পান্ডা ও কংগ্রেসের ভিখারি মণ্ডল উভয়ই এই আসনে জয়লাভ করেন।