এই কেন্দ্রে বিজেপি-র তারকা প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে ২৯ হাজার ভোটে হারিয়ে দিলেন তৃণমূলের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
এই কেন্দ্রে এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন কংগ্রেসের মহম্মদ সাদাব খান।
কলকাতা হল পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। এই শহরটি হুগলি নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত। জনসংখ্যার হিসেবে বৃহত্তর কলকাতা ভারতের তৃতীয় সর্বাধিক জনবহুল মহানগর। সুতানুটি, ডিহি কলকাতা ও গোবিন্দপুর নামে তিনটি গ্রাম নিয়ে মূল কলকাতা শহরটি গড়ে ওঠে। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত এই গ্রামগুলির শাসনকর্তা ছিলেন মুঘল সম্রাটের অধীনস্থ বাংলার নবাবেরা। ১৬৯০ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নবাবের কাছ থেকে বাংলায় বাণিজ্য সনদ লাভ করেছিল। এরপর কোম্পানি কলকাতায় একটি দুর্গবেষ্টিত বাণিজ্যকুঠি গড়ে তোলে। ১৭৫৬ সালে নবাব সিরাজদ্দৌলা কলকাতা জয় করেছিলেন। কিন্তু পরের বছরই কোম্পানি আবার শহরটি দখল করে নিয়েছিলেন। এর কয়েক দশকের মধ্যেই কোম্পানি বাংলায় যথেষ্ট প্রতিপত্তি অর্জন করেছিল। ১৭৯৩ সালে ‘নিজামৎ’ বা স্থানীয় শাসনের অবলুপ্তি ঘটিয়ে এই অঞ্চলে পূর্ণ সার্বভৌমত্ব কায়েম করেছিল।
ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র কলকাতা জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি নিম্নলিখিত ওয়ার্ডগুলি দ্বারা গঠিত হয়। এই বিধানসভার অন্তর্গত কলকাতা পুরসভার ওয়ার্ড নম্বর ৬৩, ৭০, ৭১, ৭২, ৭৩, ৭৪, ৭৭ ও ৮২। ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের অংশ।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দোপাধ্যায় জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৬৫,৫২০৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ছিল ৪০,২১৯৷ তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দোপাধ্যায় তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সিকে ২৫,৩০১ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। অতীতে ১৯৫১ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত ভবানীপুরের একটি বিধানসভা আসন ছিল। ১৯৫১ সালে দেশের প্রথম নির্বাচনে কংগ্রেসের মীরা দত্তগুপ্ত নির্দলের দেবনাথ দাস, বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক দলের সোমেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও অন্যান্যদের পরাজিত করেছিলেন। ১৯৫৭ সালে কংগ্রেসের সিদ্ধার্থশংকর রায় প্রজা সোশালিস্ট পার্টির শৈলা সেনকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৬২ সালে সিদ্ধার্থশংকর রায় নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রীতিন রায়চৌধুরীকে পরাজিত করেছিলেন।