তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ব্ল্যাকমেল’ করা নিয়ে ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যে পালটা কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। খড়্গপুরে প্রচারে এসে কটাক্ষের সুরে দিলীপ জানান, তৃণমূলে এখন মুষলপর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। বড় বড় নেতারা চলে গিয়েছেন। এখন রয়ে গিয়েছেন মাঝারি মাপের নেতারা। তাঁরাই ব্ল্যাকমেল করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
ঠিক কী বলেছিলেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম? বুধবার এক কর্মী সভায় ফিরহাদকে বলতে শোনা গিয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্ল্যাকমেল করে নিজের পছন্দের প্রার্থী দিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেজন্যই নলহাটিতে টিকিট পাননি মইনুদ্দিন শামস। ফিরহাদের এই মন্তব্যের পরই রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়ে যায়।
এবার এই ফিরহাদের মন্তব্যকেই হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগালেন দিলীপ। বৃহস্পতিবার খড়্গপুরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে প্রচারে বেরিয়ে দিলীপ বলেন, ‘ওদের (তৃণমূল) ভিতরের অবস্থা ভালো নয়। বড় বড় নেতারা, বিধায়করা দল ছেড়ে চলে গিয়েছে।গণ্ডগোল তো চলছেই।অনুব্রত মণ্ডলই এখন ওদের বড় নেতা! বীরভূম ছাড়া এখন অন্য জায়গায় জেতার আশা দেখছেন না নেত্রী!দিদি এখন পা সামলাবেন নাকি দল সামলাবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না।’
দলীয় কর্মীদের নিয়ে খড়গপুর শহরে ঘোরেন দিলীপ। খড়্গপুর স্টেশনে চা খান। এরপর খড়্গপুর বাজারেও যান। বেশ কয়েকজন মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময়ও করেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে প্রচার হচ্ছে। ইভিএমের বিরুদ্ধে প্রচার হচ্ছে। আর কিছু বলার নেই। ওরা হেরে গিয়েছে। কোচবিহারে আমাদের কর্মীদের কারা মেরেছে, জানি। একের পর এক খুন করা হচ্ছে।’ বারুইপুরে আব্বাসের দলের সঙ্গে সংঘর্ষে তৃণমূল কর্মীর খুনের ঘটনায় দিলীপ ঘোষ জানান, হিংসার রাজনীতি বন্ধ হোক। বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না।