বিষ্ণুপুর বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন অর্চিতা বিদ। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির প্রার্থী তন্ময় ঘোষ। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন কংগ্রেসের দেবু চট্টোপাধ্যায়।
বাঁকুড়া জেলার উত্তরে ও পূর্বে রয়েছে যথাক্রমে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান। এই জেলাতেই রয়েছে বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্র। দক্ষিণে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর। আর দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে হুগলি। এছাড়াও পশ্চিমে পুরুলিয়া জেলা রয়েছে। বাঁকুড়া ও বর্ধমান এই দু’টি জেলাকে পৃথক করেছে দামোদর নদ। বাঁকুড়ার পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভাগের জমি নিচু ও উর্বর পলিমাটিযুক্ত। পশ্চিম ভাগের জমি ধীরে ধীরে উঁচু হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় বিষ্ণুপুরে ভোট হবে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী তুষারকান্তি ভট্টাচার্য এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোটসংখ্যা ছিল ৭৬,৭৪১৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ছিল ৭৫,৭৫০৷ কংগ্রেস প্রার্থী তুষারকান্তি ভট্টাচার্য তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়কে ৮৯১ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।
২০১১ সালে জিতেছিলেন তৃণমূলের শ্যামাপদ এবং ২০০৬ সালে সিপিআইএমের স্বপন ঘোষ জয়ী হয়েছিলেন। ২০০১ সালে সিপিআইএম প্রার্থী জয়ন্ত চৌধুরী তৃণমূল কংগ্রেসের শুভাশিস বটব্যাল ও ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯১ সালে সিপিআইএমের অচিন্ত্যকৃষ্ণ রায় শুভাশিসকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের সব্যসাচী রায় ও ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের অর্ধেন্দু মিত্রকে পরাজিত করেছিলেন অচিন্ত্যকৃষ্ণ।
১৯৭১ ও ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের ভবতারণ চক্রবর্তী ওই আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৯ সালে কংগ্রেসের শাস্ত্রীদাস সরকার ওই আসন জিতেছিলেন। ১৯৬৭ সালে কংগ্রেসের বি.সি.মণ্ডল বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন। ওই আসনেই ১৯৬২ সালে সিপিআইয়ের রাধিকা ধীবর জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে বিষ্ণুপুর যৌথ আসন ছিল। ১৯৫৭ সালে কংগ্রেসের পূরবী মুখোপাধ্যায় ও কিরণচন্দ্র দিগার উভয়ই ওই যৌথ আসনে জয়ী হয়েছিলেন। দেশের প্রথম নির্বাচনে কংগ্রেসের কিরণচন্দ্র দিগার ও রাধা গোবিন্দ রায় উভয়ই জয়ী হয়েছিলেন বিষ্ণুপুরে।