বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে গণতন্ত্র রক্ষায় একজোট হওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই জয়নগরের সভায় এসে নরেন্দ্র মোদী কটাক্ষের সুরে মমতার চিঠিকে নিশানা করেন। তবে এদিন শিবসেনার পক্ষ থেকে সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে সব দলেরই ভাবা উচিত। আর মমতার চিঠি পেয়ে আমরাও ভাবছি।’ রাজ্যে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণ, ‘১০ বছর যদি ঠিকভাবে কাজ করতেন তাহলে কী আজ অন্য দলের কাছে সাহায্য চাইতে হতো?’
এদিকে নন্দীগ্রামে নির্বাচনের আগে আসার কথা ছিল মারাঠা স্ট্রংম্যান শরদ পাওয়ারের। কিন্তু তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি আসতে পারেননি। মমতার চিঠি পাওযার পর শেষ দফার ভোটের আগে বাংলার নেত্রীর সমর্থনে প্রচারে শরদ আসবেন বলে জানানো হয়েছে। এমনকী তিনি জানিয়েছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হওয়া নিয়ে যে বার্তা মমতা দিয়েছেন তাতে সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে তাঁদের দলের। আবার কাশ্মীরের পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি জানান, দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার প্রয়োজন আছে। এই বিষয়ে তিনি মমতাকে প্রত্যুত্তরের একটি চিঠি লিখে নিজের সমর্থনের কথা জানান।
উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিজেপি দলগুলির নেতৃত্বকে চিঠিতে লেখেন, রাজ্যপালের ক্ষমতা বলে অবিজেপি রাজ্যগুলিতে ক্ষমতা দখল করতে চাইছে বিজেপি। ইডিকে অস্ত্র হিসাব কাজে লাগানো হচ্ছে। অবিজেপি রাজ্যের দাবি শোনা হচ্ছে না। আর্থিক ফান্ড ট্রান্সফারও অবিজেপি রাজ্যে হচ্ছে না সঠিক পদ্ধতিতে। জাতীয় সম্পত্তির বেসরকারীকরণ নিয়ে নানার অভিযোগ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজোট হওয়ার ডাক দেন।