ফলাফল বের হতেই গোটা বাংলা জুড়ে হামলার মুখে পড়েছেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। ভোটে জিতেই একেবারে যেন সুদে আসলে শোধ তোলার চেষ্টা করছে শাসকদল। অভিযোগ এমনটাই। এনিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপির তাবড় নেতারা সরব হয়েছেন। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকেও ছুটে আসতে হয়েছে বাংলায়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। কিন্তু কোচবিহারের কিছু জায়গায় আবার কিছুটা অন্য ছবি। কোচবিহারের একাধিক জায়গায় বিজেপির উপর হামলার অভিযোগ তুলে সরব তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজনৈতিক মহলের মতে কোচবিহারের ৯টি আসনের মধ্যে ৭টি আসন দখল করেছে বিজেপি। এরপরই যে এলাকাগুলিতে বিজেপি জিতেছে সেখানে তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে একেবারে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। অভিযোগ এমনটাই। তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙা, দিনহাটা সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কার্যত চাপের মুখে পড়েছে তৃণমূল।
তুফানগঞ্জে জয়ী হয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি মালতী রাভারায়। এদিকে সেই তুফানগঞ্জের নাককাঠিগছ এলাকায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী বলেন, আমরা তৃণমূল করি। সেকারণেই আমাদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বিজেপি।'এদিকে বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় মহিলারা দল বেঁধে বেরিয়ে বাঁশ লাঠি নিয়ে তৃণমূল সমর্থকদের বাড়িতে, দোকানে ভাঙচুর চালায় বলেও অভিযোগ। তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এলাকায় শান্তি ফেরাতে মাইকিং শুরু করেছে পুলিশ। মাথাভাঙাতেও তৃণমূল কর্মীদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এতে ৫জন তৃণমূল কর্মী জখম হয়েছেন। বিজেপির দাবি কিছু জায়গায় হামলা প্রতিরোধের চেষ্টা হয়েছে। তবে তৃণমূলই বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালাচ্ছে। তুফানগঞ্জে বিজেপির একটি দলীয় কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।