বিজেপি প্রার্থী রিঙ্কু নস্করকে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। পঞ্চসায়রে প্রচারে গেলে পুলিশের তরফে যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থীকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকী প্রচারে বাধা দিয়েছে পুলিশ বলে অভিযোগ বিজেপি প্রার্থী রিঙ্কু নস্করের। জোর করে পুলিশের গার্ডরেল সরিয়ে চলল প্রচার। গণ্ডগোলের আশঙ্কায় আটকানো হয় বলে যুক্তি পুলিশের।
এই বছর রয়েছে বেশ কিছু হাইভোল্টেজ কেন্দ্র। যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্র তার মধ্যে অন্যতম। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী জয়ী হন। তখন রাজ্যে বিজেপি ততটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেনি। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকে রাজ্যে বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে বিজেপি। আর এবার একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে পদ্ম শিবির। চলছে পাড়ায় পাড়ায় প্রচার।
তবে ভয় দেখিয়ে পুলিশকে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছেন বাবুল সুপ্রিয়। রবিবার প্রচারে বেরিয়ে বাধার মুখে পড়েন নন্দীগ্রামের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী, সিপিআইএমের যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। আর সোমবার পুলিশের বিরুদ্ধে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুললেন ভোটের মুখে বাম থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া যাদবপুরের গেরুয়া প্রার্থী রিঙ্কু নস্কর। যা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় বিজেপির কর্মী–সমর্থকদের।
অভিযোগ, পিয়ারলেস হাসপাতালের মূল দরজার সামনে থেকে প্রচার শুরু করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী রিঙ্কু নস্কর। কিন্তু পঞ্চসায়র এলাকায় পৌঁছলে প্রচারে বাধা আসে। আরও অভিযোগ, পদযাত্রায় বাধা দেয় পুলিশ। এই বিষয়ে রিঙ্কু নস্কর বলেন, ‘নির্বাচনের সময় পুলিশের কাছে আলাদা করে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। আমি প্রার্থী হিসেবে প্রচারে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের বাধা দেওয়া হয়। এভাবে বাধা দিয়ে কোনও লাভ হবে না।’