শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন নন্দীগ্রামে। তিনি নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিলের পরই প্রকাশ্যে এল তাঁর স্থাবর–অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব। সেই হিসেব অনুযায়ী, ২০১৬ সালের পরে ২০২১ সালে ফের নন্দীগ্রামে প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। তবে বড় ফারাক এবার। জোড়াফুলের বদলে এবার তাঁর প্রতীক পদ্ম। শুক্রবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, সম্পদের হিসেবও ঘোষণা করেছেন তিনি।
তাঁর ঘোষিত সেই হিসেব বলছে, এখন তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির মোট মূল্য ৯০ লাখ ৬ হাজার ১৪৯ টাকা ৩২ পয়সা। গত ৫ বছর আগে বিধানসভা নির্বাচনের মনোনয়নে জমা দেওয়া হিসেবে মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৬২ লাখ ৬০ হাজার ৭৪২ টাকা ৩৫ পয়সা। সুতরাং গত ৫ বছরে শুভেন্দু অধিকারীর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ২৭ লাখ ৪৫ হাজার ৪০৬ টাকা ৯৭ পয়সা। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে শুভেন্দুর অস্থাবর সম্পত্তি (নগদ ছাড়াও ব্যাঙ্কে থাকা টাকা, শেয়ার, অন্যান্য বিনিয়োগ, গাড়ি ইত্যাদি) পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ, ৫২ হাজার ২৪২ টাকা ৩৫ পয়সা।
এখন শুভেন্দুর মালিকানাধীন অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৫৯ লাখ ৩১ হাজার ৬৪৭ টাকা ৩৫ পয়সা। সেই সময়ে স্থাবর সম্পত্তি ছিল (জমি, বাড়ি ইত্যাদি) ছিল ৪৪ লাখ ৮ হাজার ৫০০ টাকা। এখন শুভেন্দুর মালিকানাধীন স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৩০ লাখ ৭৪ হাজার ৬০২ টাকা। শুভেন্দু অধিকারী দীর্ঘদিনের জনপ্রতিনিধি। তিনি সাংসদ ছিলেন, তারপর বিধায়ক হয়ে গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রী হন। ছিলেন বিভিন্ন উন্নয়ন পর্যদের পদে। এবার নির্বাচনী হলফনামায় শুভেন্দু জানালেন স্থাবর–অস্থাবর মিলিয়ে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৯০ লক্ষ টাকার কিছু বেশি। নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী এই হলফনামা দিয়ে এমনটাই দাবি করেছেন তিনি।
তাঁর হলফনামা অনুযায়ী, শুভেন্দুর নিজস্ব কোনও গাড়ি বা সোনাদানা নেই। মনোনয়নে শুভেন্দু জানিয়েছেন, তিনি ২০১১ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেছেন। ২০১৯–২০২০ আর্থিক বছরে শুভেন্দু আয় করেছেন ১১ লাখ ১৫ হাজার ৭১৫ টাকা। তবে সম্পত্তির নিরিখে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে রয়েছেন। ১৫টি ব্যাঙ্কে তাঁর অ্যাকাউন্ট আছে। নন্দীগ্রামের গংড়া–সহ বেশ কিছু জায়গায় জমি আছে শুভেন্দুর।