বিজেপির ইসতেহার প্রকাশ করে নাগরিকত্ব নিয়ে উদ্বাস্তুদের যাবতীয় ধন্দ মেটালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঘোষণা করলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই কার্যকর হবে CAA. শুধু তাই নয়, নাগরিত্ব পাওয়ার পর উদ্বাস্তু পরিবারগুলিকে বছরে ১০,০০০ টাকা করে দেবে বিজেপি সরকার।
রবিবার বিধাননগরের পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে বিজেপির ইসতেহার প্রকাশ করে শাহ বলেন, বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকেই লাগু করবে CAA. এর ফলে উদ্বাস্তু ভাই-বোনেরা ভারতের নাগরিত্ব পাবেন’।
এখানেই শেষ নয়, ইসতেহারে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ক্ষমতায় এলে ৫ বছর ধরে প্রতি বছর প্রতিটি উদ্বাস্তু পরিবারকে ১০,০০০ টাকা করে দেবে তারা। উদ্বাস্তদের আধার কার্ড, রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড পেতে হয়রানি এড়াতে সিঙ্গল উইন্ডো ব্যবস্থা করা হবে। সস্তায় ঋণ পাবেন উদ্বাস্তুরা। কলেজে পড়লে বৃত্তি পাবেন উদ্বাস্তু পরিবারের সন্তানেরা। যাদবপুর, ঠাকুরনগর ও কোচবিহারে উদ্বাস্তু কলোনির উন্নয়নে বিশেষ তহবিল তৈরি হবে। উদ্বাস্তু কলোনিগুলিতে পানীয় জল, বর্জ্য নিষ্কাশনের মতো সুবিধা দেওয়া হবে। এছাড়া মতুয়া দলপতিদের মাসে ৩,০০০ টাকা করে ভাতা দেবে বিজেপি সরকার।
২০১৯-এর ফেব্রুয়ারিতে সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ করে মোদী সরকার। এই আইন অনুসারে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলি থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারারের শিকারের ফলে আগত হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বী মানুষকে নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার। বিরোধীদের দাবি, দেশ থেকে মুসলিমদের বিতাড়িত করতে এই আইন পাশ করিয়েছে বিজেপি।
এই আইন পাশের প্রতিবাদে প্রায় ১ মাস ধরে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় তাণ্ডব চলে। রাজ্যের মুসলিম অধ্যুষিত জেলাগুলিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। মুর্শিদাবাদে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় আস্ত ভাগীরথি এক্সপ্রেস। দিনের পর দিন অবরুদ্ধ করে রাখা হয় জাতীয় সড়ক।