কাঁটা অধিকারী বুথেও, 'ব্যাকফুটে' পদ্ম শিবির

পদ্ম যেমন আছে, কাঁটাও আছে সর্বত্র। শুভেন্দু অধিকারীর পরিবার যে বুথে ভোট দেন সেখানেও পিছিয়ে গেরুয়া শিবির, সূত্রের খবর এমনটাই

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী (নিজস্ব চিত্র)

জিতেছেন তিনি। কিন্তু সভা সমিতিতে যত ভোটে তৃণমূল নেত্রীকে পরাস্ত করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তেন তিনি তত ভোটে কী পরাস্ত করতে পেরেছেন?  ভোটের ফলাফল বেরতেই বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে উঠে আসছে এমনই নানা কথা। তবে এখানেই শেষ নয়। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির যে বুথে ভোট দেন অধিকারী পরিবারের সদস্যরা, সেখানেও কার্যত পিছিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবির। কমিশনের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে, একটা, দুটো নয়, একেবারে ৫৪টি ভোটে তৃণমূলের থেকে পিছিয়ে রয়েছে বিজেপি। বিজেপি নেতৃত্বের হতাশা আরও বৃদ্ধির পক্ষে এই তথ্যই যথেষ্ট, এমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

স্থানীয় সূত্রে খবর, কাঁথি পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৮৩ নম্বর বুথে কার্যত গোটা অধিকারী পরিবার ভোট দেন। এই বুথে গত ২৭শে মার্চ সাংসদ শিশির অধিকারী সহ পরিবারের অনেকেই ভোট দিয়েছিলেন। একটা সময় শুভেন্দু অধিকারীও এই বুথে ভোট দিতেন। তবে এখন তিনি নন্দীগ্রামের ভোটার। ভোটের ফলাফল শেষে ৮৩ নম্বর বুথে দেখা যাচ্ছে বিজেপি পেয়েছে ২১১টি ভোট আর তৃণমূল পেয়েছে ২৬৫টি ভোট। অর্থাৎ ৫৪টি ভোটে এগিয়ে তৃণমূল। তবে ওয়ার্ডের অন্য তিনটি বুথে অবশ্য এগিয়ে আছে বিজেপি। পুর এলাকার ১৫টি ওয়ার্ডেই এগিয়ে বিজেপি।  গেরুয়া শিবিরের কাছে আশার কথা এটাই। আরও আশার কথা কাঁথি দক্ষিণ কেন্দ্রে এবার জিতে গিয়েছে বিজেপি। হেরেছেন তৃণমূল প্রার্থী জ্যোতির্ময় কর। কিন্তু শিশির অধিকারী যে বুথে ভোট দেন সেখানেই কিনা পিছিয়ে গেল বিজেপি? এব্যাপারে জ্যোতির্ময় কর সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন,'হাতে সময় খুব কম পেয়েছিলাম, না হলে দেখে নিতাম কাঁথি দক্ষিণ কার গড়?' আর সংবাদ মাধ্যমের সামনে শিশির অধিকারীর দাবি,'কাঁথিতে মানুষ আমাদেরকেই ভালোবাসেন।'