হাতের খোলা তরোয়ালে জিভ ছু্ঁইয়ে বিজেপি নেতা, কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল

মনস্পতি দেবের এই ছবির পোস্টকে ঘিরে বিতর্ক

হাতে খোলা তরোয়াল।তাতে জিভ ঠেকিয়ে রয়েছেন বিজেপি নেতা! ছবির উপরের ক্যাপশনে লেখা, ‘‌রক্তের স্বাদ।হা হা হা।চরিত্র কিন্তু বদলাইনি।’‌

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেবের এমনই একটি ছবি প্রকাশ্যে আসায় বির্তকের ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি নেতার এই ধরনের ছবি পোস্ট করার পর থেকেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

এই ঘটনার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, বনগাঁয় বিজেপির সঙ্গে সাধারণ মানুষ নেই। তাই প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়েছেন ওই বিজেপি নেতা। নির্বাচন কমিশনে বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের তরফে অভিযোগ দায়ের করেছেন জেলা তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর গোপাল শেঠ।

বৃহস্পতিবার গোপাল শেঠ জেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বলেন, ‘বনগাঁয় বিজেপির সঙ্গে সাধারণ মানুষ নেই। তাই সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাতে এমন ছবি পোস্ট করা হয়েছে। বিজেপি সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে।’ প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন ওই বিজেপি নেতা।এই প্রসঙ্গে মনস্পতিবাবু বলেন, ‘‌ফেসবুকে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আমার ছবি পোস্ট করেছে তৃণমূল। তবে ওরা ভুলবশত ২৩ ফেব্রুয়ারি ছবিটি পোস্ট করেছেন। সেই সময় ভোট ঘোষণাও হয়নি।’‌ তিনি আরও জানান, এমন ছবি তিনি অতীতে তুলেছিলেন। চক্রান্ত করার জন্যই সেই ছবি কোনও ভাবে জোগাড় করেছে তৃণমূল। ওই ফেসবুক পোস্টে দেখা গিয়েছে, তরোয়াল হাতে ধরে রয়েছেন মনস্পতিবাবু। তাতে জিভ ছু্ঁইয়ে রয়েছেন। ক্যাপশনে লেখা, ‘রক্তের স্বাদ। হা হা হা। চরিত্র কিন্তু বদলাইনি।’

অবশ্য এখন ওই বিতর্কিত পোস্টটি উধাও হয়ে গিয়েছ ফেসবুক থেকে। এই প্রসঙ্গে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে কেউ চক্রান্ত করে এমনটা ঘটিয়েছে। মনস্পতি সভাপতি হওয়ার পরে তাঁকে এই ধরনের কার্যকলাপ করতে দেখিনি।’ অন্য দিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে পোস্টের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল।