হুগলিতে বিজেপি–র সভা আর সেখানে সিঙ্গুরের প্রসঙ্গ উঠবে না, তা হয় না। আর সেই প্রসঙ্গই এদিন শোনা গেল শুভেন্দুর মুখে। বুধবার গুড়াপে বিজেপি–র জনসভায় তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে শুভেন্দু বলে উঠলেন, ‘সিঙ্গুরে টাটা ন্যানোর কারাখানাকে তাড়িয়ে বেকার যুবকদের স্বপ্ন ধ্বংস করেছে।’ যদিও সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম সৈনিক ছিলেন শুভেন্দু। এবার তাঁর গলায় শোনা গেল অনুশোচনার সুর।
সিঙ্গুর আন্দোলনে মমতার আর এক সঙ্গী ছিলেন মুকুল রায়। তিনিও কিছুদিন আগে নিজের ‘ভুল’ স্বীকার করেছিলেন। নন্দীগ্রামের এক সভা থেকে তিনি বলেছিলেন, ‘টাটাদের তাড়িয়ে ভুল করেছি’, এবার সেই একই পথে হাঁটলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিনের সভায় তৃণমূল সরকারের শাসনকালে চাকরি বা শিল্প কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে চাকরি নেই। শিল্প নেই। সিঙ্গুরে কী অবস্থা করেছে দেখুন। টাটা ন্যানোর কারখানাকে তাড়িয়ে বেকার যুবকদের স্বপ্ন ধ্বংস করেছে।’
গতকাল, মঙ্গলবার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নির্বাচনী কৌশল ঠিক করতে দিল্লিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা। সেখানে রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের বাসভবনে অনেক রাত পর্যন্ত বৈঠক করেন তাঁরা। তার পর এদিন ফিরে রাজীব, শুভেন্দুরা পৌঁছে যান গুড়াপে। এখানে সদ্য বিজেপি–তে যোগ দেওয়া প্রবীর ঘোষালের সঙ্গে তাঁরা রোড শো করেন।
রোড শো শেষে একটি জনসভায় খুব সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন শুভেন্দু। আর তাতেও এদিন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, ‘জয় শ্রী রাম বললে একজন রেগে যাচ্ছে, আর একজন রেগে যাচ্ছে তোলাবাজ ভাইপো বললে।’ তাঁর আরও কটাক্ষ, ‘তোলাবাজ ভাইপোরা শুধু কলকাতায় নয়, ধনেখালিতেও অনেক তোলাবাজ ভাইপো আছে।’ শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘২০১১ সালে কোনও পরিবর্তন আসেনি। বাংলায় আসল পরিবর্তন আনতে হলে বিজেপি–কে জেতাতে হবে। চুপচাপ পদ্মফুলে ছাপ দিতে হবে।’