এখনও তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারেননি যে, নন্দীগ্রাম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তিনিই প্রার্থী। অথচ ঝটিকা সফরে এসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে গিয়েছেন, নন্দীগ্রাম থেকে আমিই প্রার্থী। তারপর থেকেই কেঁপে গিয়েছে জমি আন্দোলনের জেলা। এই পরিস্থিতিতে এবার নন্দীগ্রামকেই ঢাল করলেন অধুনা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শ্রীরামপুরে সরস্বতী পুজোর উদ্বোধন করতে এসে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, উঠে এল মইদুল মিদ্যা মৃত্যুর প্রসঙ্গ। আবার আক্রমণ করলেন ‘মা’ প্রকল্পটি নিয়েও। আসলে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরাসরি সম্মুখসমরে লড়াই বেশ চাপের মনে করেই এমন সমালোচনা করছেন শুভেন্দু বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী অনুষ্ঠান থেকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে চান। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গড়তে চান নির্ভরশীল ভারত। আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেছি। আমার মতো শিক্ষিত একজন যুবক কেন ৫ টাকার ভাত খাবেন।’ এভাবেই প্রধানমন্ত্রী বনাম মুখ্যমন্ত্রীর ফারাক বোঝাতে চেষ্টা করলেন। অনেকেই বলছেন, এই ফারাক বুঝতে শুভেন্দুর ২১ বছর লেগে গেল। যা সত্যিই ভাবনার বিষয়।
এখানে উপস্থিত বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ মইদুল মিদ্যার মৃত্যুর প্রসঙ্গে বলেন, ‘মইদুলকে ঠান্ডা মাথায় খুন করেছে পুলিশ। গণতান্ত্রিক উপায়ে নিজের অধিকারের জন্য মিছিলে গিয়েছিল ছেলেটা। যাঁরা লাঠি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন, যাঁরা লাঠি চালিয়েছেন, যাঁরা খুন করেছেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রত্যেককে জেলে পোরা হবে।’
এরপরই একই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দুও বলেন, ‘একটা ছেলে চাকরি চাইতে গিয়েছিল। আর এভাবে তাঁকে মেরে ফেলা সরকারের নৃশংসতা বর্বরতা প্রমাণ করে। মুক্তির পথ হল— নরেন্দ্র মোদীর আশীর্বাদধন্য গণতান্ত্রিক সরকার তৈরি করা। আর নন্দীগ্রামে গুলিচালনা দেখিয়ে যে সরকার ক্ষমতায় এল আজ তারাই নবান্নের দরজায় যুবকদের পিটিয়ে মারবে, এটা মেনে নেওয়া যেতে পারে না।’ অথচ কলকাতার রাজপথে যেদিন এসএফআই নেতা সুদীপ্ত গুপ্ত মারা গিয়েছিল সেদিন কিন্তু একটি শব্দও খরচ করেননি তৎকালীন তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। আসলে বামেদের ভোট রামে টানতেই এই সমালোচনা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।