শুধু নন্দীগ্রামেই লড়তে হবে মমতাকে। শুভেন্দুর এই চ্যালেঞ্জকে হাতিয়ার করে তৃণমূলনেত্রীর ওপর চাপ বাড়াতে একযোগে টুইট করলেন বিজেপির শীর্ষনেতারা। তার মধ্যে রয়েছেন শুভেন্দু নিজেও। সম্মিলিত এই টুইটযুদ্ধের পিছনে বিজেপির কী রণনীতি রয়েছে তা বোঝার চেষ্টায় রাজনৈতিক মহল।
গত জানুয়ারিতে নিজে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন মমতা। ওই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যিনি মন্ত্রিত্ব ও বিধায়কপদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। নন্দীগ্রামে লড়ার ইচ্ছাপ্রকাশের পাশাপাশি ওই দিন আরও ১টি আসন থেকেও তিনি লড়তে পারেন বলে ইঙ্গিত দেন তৃণমূলনেত্রী।
এর পরই মমতার উদ্দেশে আক্রমণ শানান সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘না দিদিমণি। অন্য কোনও আসন থেকে লড়া চলবে না। শুধু নন্দীগ্রামেই লড়তে হবে। আর আপনাকে সেখানে আমি হাফ লাখ ভোটে হারাবো।’
এদিন মমতাকে একই ভাষায় টুইটে আক্রমণ করেন বিজেপি নেতারা। তার মধ্যে রয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারী। সবার দাবি একটাই। মমতাকে ঘোষণা করতে হবে শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম থেকেই ভোটে লড়বেন তিনি।
কৈলাস লিখেছেন, ‘মমতাদি ঘোষণা করেছেন নন্দীগ্রাম থেকে তিনি বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন। কিন্তু উনি একথা বলেননি যে শুধু নন্দীগ্রাম থেকেই লড়বেন। নিজের জয়ের ব্যাপারে প্রত্যয়ী হলে উনি সেই ঘোষণাটাও করে দিন। নইলে ধরে নেব নন্দীগ্রামের ওপর ওনার ভরসা নেই।’
মুকুল লিখেছেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হবেন বলে নিজেই ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই কেন্দ্র থেকে তিনি জিতবেন, এমনটা সুনিশ্চিত হলে তবেই ঘোষণা করুন যে, ওই কেন্দ্র থেকেই তিনি লড়বেন। পরে যেন মুখ্যমন্ত্রী কথার খেলাপ না করেন। নাহলে তিনি কী করবেন , তা জানা আছে।’ প্রায় একই কথা লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষও।
নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই সরগরম হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম থেকে নিজের প্রার্থীপদ ঘোষণার পর সেউ উত্তাপের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে হলদি নদীর পাড়ের ছোট্ট জনপদটি। রাজনৈতিক লড়াইয়ের অন্যতম প্রতীক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি বিজেপির চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবেন? সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।