একুশের নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারীর জয় নিয়ে বিতর্ক থাকলেও বিরোধী দলনেতা হিসাবে তাঁকেই প্রজেক্ট করতে চাইছে বিজেপি। এই নিয়ে বিজেপির রাজ্য দফতরে জোর আলোচনা চলছে। বিধানসভায় একমাত্র বিরোধী দল তারাই। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দলের নেতা কে হবেন? তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছিল বঙ্গ–বিজেপির অন্দরে। সেখানে মোটামুটিভাবে শুভেন্দুর নামটিই আপাতত চূড়ান্ত হয়েছে বলে খবর। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও খুব একটা আপত্তি করেনি বলেই সূত্রের খবর।
কেন শুভেন্দু অধিকারীকে বিরোধী দলনেতা করার কথা ভাবছে বিজেপি? এই বিষয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপির প্রথমসারির রাজ্য নেতা বলেন, এই সিদ্ধান্তের পেছনে তিনটি কারণ আছে। এক, তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়েছেন। দুই, শুভেন্দু অধিকারীর উপর আক্রমণ নেমে আসছে। তাই বিরোধী দলনেতা করে দিলে বাড়তি সুরক্ষাবলয় থাকবে তাঁর সঙ্গে। তিন, এই মুহূর্তে যাঁরা জিতেছেন তাঁদের মধ্যে ডাকাবুকো নেতা শুভেন্দু ছাড়া তেমন কেউ নেই। এইসব কারণে তাঁর নাম সবার আগে রাখা হয়েছে। একুশের মহারণে ৭৭টি আসন জিতেছে বিজেপি। সেখানে অধিকাংশ নেতা–নেত্রীই প্রথমবারের বিধায়ক।
কিন্তু মুকুল রায় কেন নন? ওই নেতা জানান, কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। তিনি রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। তবে মুকুল রায় এই পদে আসতে চান না। সেটা আগেই তিনি দলকে জানিয়েছেন। তাছাড়া বিরোধী দলনেতাকে যে পরিমাণ দৌড়–ঝাঁপ করতে হয় সেটা তিনি করতে পারবেন না। কারণ তিনি ততটা সুস্থ নন। বরং কেন্দ্রীয় নেতা হিসাবে রাজ্যের বিষয়গুলি নিয়ে পরিকল্পনা করবেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনটি আসন বিজেপি পেয়েছিল। জয়ী হয়েছিলেন মনোজ টিগ্গা, স্বাধীন সরকার ও খড়গপুর থেকে দিলীপ ঘোষ। তখন বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা ছিলেন মনোজ টিগ্গা। কিন্তু এবার পরিষদীয় দলনেতা হওয়ার দৌড়ে তাঁর চেয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।