বাম–কংগ্রেসের হরতালের সাফল্যে ক কপালে ভাঁজ পড়ল বিজেপির? এই প্রশ্নই এখন উঠতে শুরু করেছে রাজ্য–রাজনীতিতে। বিজেপি নেতা–নেত্রীরা বাম–কংগ্রেসের 'সাফল্য'-এর পেছনে এখন তৃণমূল কংগ্রেসের হাত দেখতে পাচ্ছেন। এই হরতাল নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস মুখ না খুললেও বিজেপি নানারকম অভিযোগ করতে শুরু করেছে।
এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, বাম–কংগ্রেসের হারানো জমি ফিরে পেতে সাহায্য করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। বিজেপির ভোট কাটতেই এই কৌশল নিয়েছেন তিনি। এরপরই এই হরতাল নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। বোলপুর থেকে কীর্ণাহার পর্যন্ত বিজেপির রথযাত্রা ছিল। নেতৃত্বে ছিলেন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
এখানেই তিনি অভিযোগ করেন, ‘বিজেপির রথযাত্রা পণ্ড করতে বামেদের নবান্ন অভিযানে লোক পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
পরিবর্তন যাত্রাকে কেন্দ্র করে বীরভূমের ইলামবাজারে তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি সংঘর্ষ হয়েছে। আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের চারজন। পরিবর্তন যাত্রা থেকে ফিরছিলেন ইলামবাজার থানা এলাকার খাদিমপুর গ্রামে বিজেপির কর্মী–সমর্থকরা। সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থকরা বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর করে। ফাটিয়ে দেওয়া হয় মাথা। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, বিজেপি কর্মীরা প্ররোচনা দিয়েছিল বলেই গণ্ডগোল হয়।