ভোট—পরবর্তী হিংসায় বাংলায় দলীয় কর্মীদের 'খুন' করা নিয়ে এবার ফুঁসে উঠলেন দিল্লির বিজেপি সাংসদ। বাংলায় রাজনৈতিক হিংসায় বিজেপি কর্মীদের খুনের প্রসঙ্গে দিল্লিতে গেলে তৃণমূলকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিলেন বিজেপি সাংসদ পরভেশ সাহিব সিং। বিজেপি সাংসদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টুইটটি ট্যাগ করেছেন।
তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনে জিতেই তৃণমূলের গুন্ডারা বিজেপি কর্মীদের খুন করছে। বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে তাঁর হুমকি, ‘মনে থাকে যেন, তৃণমূলের সাংসদ, মুখ্যমন্ত্রী, বিধায়কদের কিন্তু দিল্লি আসতে হবে। আমি আপনাদের সতর্ক করছি। নির্বাচনে হার—জিত হতেই পারে তবে তা কখনওই খুন নয়।’
রবিবার ভোটের ফল ঘোষিত হয়। তাতে দেখা যায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বার ক্ষমতা ধরে রেখেছে তৃণমূল। কিন্ত তার পরথেকেই কয়েকটি জায়গায় অশান্তির খবর সামনে আসতে শুরু করে। নদিয়ার গাংনাপুর, কোচবিহারের সিতাই ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে দলীয় কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি।
আবার উল্টো অভিযোগ উঠে পূর্ব বর্ধমানের রায়না ও হুগলির খানাকুলে। সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের দুই নেতা-কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠে। তাছাড়াও পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দুই তৃণমূল কর্মী ও এক বিজেপি সমর্থকের।
এর আগেই বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে, ভোটে জেতার পর তাঁদের কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। ওদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে তাঁদের ৬জন কর্মী খুন হয়েছেন। ইতিমধ্যেই, ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে সোমবারই রাজ্য সরকারের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপালও। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে দেশজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দু’দিনের সফরে রাজ্যে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখাও করবেন তিনি।