মঙ্গলবার অনেক রাতে অনুমতি মেলে পুলিশের। আর রাত পোহানের সঙ্গে সঙ্গে বুধবার সকালে খড়গপুরে কলাইকুণ্ডার কাছে হরিয়াতাড়া গ্রামে চা–চক্রে যোগ দিলেন বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। আর এই অল্প সময়ে সেই চা চক্রে মানুষের ভিড় দেখে খুশি নড্ডা বললেন, ‘রাতে আমাকে চা চক্রের অনুমতি দেয় প্রশাসন। আর আজ সকালে এত মানুষ দেখে আমি অভিভূত।’ উল্লেখ্য, গতকাল ঝাড়গ্রামের এক অনুষ্ঠানে জনসমাগম না দেখে সেখান থেকে চলে গিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতা নড্ডা।
এদিন সকালে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে চা চক্রে যোগ দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন জে পি নড্ডা। চায়ে চুমুক দিয়েই ওঠেন চা চক্র সংলগ্ন মঞ্চে। এদিন বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে নিশানা করেন নড্ডা। তিনি বলেন, ‘পিসি আর ভাইপোর গুন্ডামির কথা সবার জানা। সবাই মা–মাটি–মানুষকে ধিক্কার দেয়। এবারের নির্বাচনে চলে যেতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।’
তাঁর আরও অভিযোগ, ‘বাংলার মানুষের জন্য এই সরকার কিছুই করেনি। যে মা–মাটি–মানুষের ওপর ভর করে তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছিল, আজ তাঁদের ওপরই তোলাবাজি, গুন্ডাগিরি করছে তৃণমূল। গরিব মানুষের ওপর যে অন্যায়, অবিচার করা হচ্ছে তা আর চলবে না।’ জে পি নড্ডা এদিন প্রশ্ন করেন, ‘মমতাদির এত গোঁসা কেন?’ চা চক্রে অংশ নেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই কলাইকুণ্ডা থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে দিল্লি রওনা হন বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা।