দিদি এত ভয় কীসের? মঙ্গলবার বীরভূমের চিলার ময়দানের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে এমনই প্রশ্ন করলেন বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। এদিন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, বাবুল সুপ্রিয়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়দের সঙ্গে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিয়ে চিলার ময়দানে সভা করেন নড্ডা। সেখান থেকেই এদিন শাসকদল তৃণমূলকে একহাতে নিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘যে বাংলা সংস্কৃতি, শিক্ষার জন্য পরিচিত ছিল, সেই বাংলায় বিকাশ আটকানোর চেষ্টা চলছে। এখন ভাইয়ের সঙ্গে ভাইকে লড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে শোষন করছে মমতা দিদির সরকার। তোলাবাজি, দুর্নীতি, কাটমানির রাজনীতি করে তৃণমূল।’ মুখ্যমন্ত্রীকে নড্ডার আক্রমণ, ‘মমতাদি মাকে সম্মান দেয় না, মাটিকে ভালবাসে না। আমার নামের সঙ্গেও বিশেষণ জুড়ে দিয়েছিলেন তিনি। এটা কি বাংলার সংস্কৃতি!’
ঝাড়গ্রামে এদিন ‘পরিবর্তন যাত্রা’র সূচনা করতে এসে বীরভূমের সভায় তৃণমূলের যুব সভাপতিকেও তীব্র আক্রমণ শানালেন জে পি নড্ডা। সম্প্রতি কাঁথির জনসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী তথা অধিকারী পরিবারকে রীতিমতো তুই–তাকারি করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে টেনে এদিন বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, ‘প্রকাশ্য সভায় ভাইপো এমন ভাষা প্রয়োগ করছেন, তা তো মুখেই আনা যায় না। এটা কি বাংলার সংস্কৃতি?’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে জে পি নড্ডার কটাক্ষ, ‘সস্তায় ক্ষমতা পেয়েছেন তো, তাই মস্তি করছেন।’
নড্ডার অভিযোগ, ‘বাংলায় আমাদের ১৩০ জন কর্মীকে খুন করা হয়েছে। এটা কোন বাংলা! কথা বলার স্বাধীনতা আর বাংলায় নেই। রোজ গণতন্ত্রের হত্যা হচ্ছে। এই রাজ্যে ঘরোয়া হিংসার ঘটনা ৩৫ শতাংশ।’ জে পি নড্ডার অভিযোগ, ‘ধর্ষণের ঘটনা, নারী পাচারে বাংলা এখন শীর্ষে। এসব জানতে পারলে কষ্ট হয়। বাংলায় আইনের শাসন বলে কিচ্ছু নেই।’