তৃতীয় দিনের সকালে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় 'বাধা' পেল বিজেপির ‘পরিবর্তন যাত্রা’। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় বিজেপির রুটে বিজেপির রথকে এগিয়ে যেতে দেয়নি পুলিশ। যদিও নিজেদের নির্ধারিত রুট ধরে যেতেই অনড় বিজেপি নেতারা। তা নিয়ে এলাকায় রীতিমতো উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, দিন ১৫ আগেই পুলিশ-প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক কারণে পথ আটকানো হয়েছে।
গত শনিবার নবদ্বীপ থেকে ‘পরিবর্তন যাত্রা’-র সূচনা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। রবিবার রাতে তা বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম আশ্রমে ছিল। সোমবার সকালে বেরনোর আগে প্রস্তাবিত রুটে রথযাত্রায় ‘না’ করে দেয় পুলিশ। নওদা-হরিহরপাড়া হয়ে বহরমপুরে যাওয়ার কথা ছিল রথের। সেই রুটে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা আছে বলে জানানো হয়। কিন্তু বিকল্প রুটে যেতে অস্বীকার করে বিজেপি। নিজেদের রুটেই এগিয়ে যাওয়ার দাবিতে অনড় থাকেন গেরুয়া শিবিরের নেতাকর্মীরা। তা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। নিজেদের রুটেই রথের দড়ি টানতে অনড় রয়েছেন বিজেপি নেতারা। যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নিজেদের নির্ধারিত রুট মেনে যাচ্ছে না রথ।
বিষয়টি নিয়ে বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানান, আগেভাগেই পুলিশকে ‘পরিবর্তন যাত্রা’ রুটের বিষয়ে জানানো হয়েছিল। তারপরও রথ আটকে দেওয়া হয়েছে। যদি সমস্যা থাকত, তাহলে আগে বলা হয়নি কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শমীক। তবে পুলিশের অনুমতি মিলেছিল কিনা, সে বিষয়ে খোলসা করে কিছু জানাননি তিনি। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেন, নিশ্চয়ই নির্দিষ্ট কোনও কারণে রথ আটকানো হয়েছে। তবে রথযাত্রা নয়, বিজেপির যাত্রাপালা হচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, দিল্লির সীমান্তে যথন বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল যাচ্ছিল, তখন কেন আটকানো হয়েছিল?