চতুর্থ দফার ভোটের সকালে নয়া মাত্রা পেল অডিয়ো টেপের রাজনীতি। বিজেপির তরফে একাধিক অডিয়ো টেপ (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) প্রকাশ করে দাবি করা হল, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের যে অভিযোগ ওঠে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন শাসক দলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।
শনিবার সকালে ভোট-পর্ব শুরুর ঠিক ১৮ মিনিট পরেই টুইটারে একাধিক অডিয়ো টেপ (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) প্রকাশ করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় আইটি সেলের প্রধান তথা রাজ্যের সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালবিয়া। প্রথম অডিয়ো টেপে (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) একজনকে বাংলার রাজনীতিতে সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়। বিজেপির দাবি, ওই ব্যক্তি প্রশান্ত।
ওই অডিয়ো টেপে (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ওই ব্যক্তিতে বলতে শোনা যায়, ‘বড় সমস্যাটা হল, গত ২০ বছর ধরে সংখ্যালঘুদের ভয়ানক তোষণের জন্য সবকিছু করা হয়েছে। যা আপনাকে স্বীকার করতেই হবে। বাংলার দিকে দেখুন। এখানকার রাজনীতির একটা গুরুত্বপূর্ণ ধারণা হল, যে দলকে মুসলিমরা ভোট দেবেন, তারা সরকার গড়বে। কংগ্রেস হোক, বাম হোক বা দিদি হোন - মুসলিম ভোট পাওয়ার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। প্রথমবার হিন্দুরা ভাবছেন যে আমাদেরও কেউ জিজ্ঞাসা করছে। বিষয়টা এমন নয় যে পুরো সমাজই ভুল। কোথাও না কোথাও গিয়ে কয়েকটি বিষয়ের সদ্ব্যবহার করছে বিজেপি। আর সেই সুযোগটা কোনও না কোনওভাবে এসেছে সংখ্যালঘু রাজনীতির চূড়ান্ত অপব্যবহার থেকে।’
সেই মন্তব্যের রেশ ধরে বিজেপির দাবি, এতদিন রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে যে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ তুলে আসছে গেরুয়া শিবির, তা স্বীকার করে নিয়েছেন খোদ তৃণমূলের ভোটকুশলী (বিজেপির দাবি মতো)। যে অস্ত্রকে হাতিয়ার করে বাংলার ভোটে মেরুকরণের চেষ্টা করছে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ থেকে শুরু করে বিজেপির প্রথমসারির সকল নেতারাই সেই অস্ত্র ব্যবহার করছেন। শনিবার অডিয়ো টেপ প্রকাশ করে মালবিয়া বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটকুশলী স্বীকার করে নিলেন যে গত ২০ বছর ধরে বাম, কংগ্রেস এবং তৃণমূল শুধুমাত্র মুসলিম তোষণ করেছে।'
তবে সেই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি খোদ প্রশান্ত। সংবাদসংস্থা এএনআইকে তিনি শুধু বলেন, 'আমি খুশি যে নিজেদের নেতাদের তুলনায় আমার ক্লাবহাউস চ্যাটকে বেশি গুরুত্বের সহকারে দেখছেন। আংশিক কথোপকথনের প্রকাশের পরিবর্তে পুরো কথোপকথন প্রকাশ করার আর্জি জানাচ্ছি।'