এবার ভোট পরবর্তী হিংসার ইস্যুতে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি। দলের মুখপাত্র তথা আইনজীবী গৌরব ভাটিয়া এই সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করেছেন সুপ্রিমকোর্টে। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন গৌরব ভাটিয়া। এদিন মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতায় খুন হওয়া অভিজিত্ সরকারের ঘটনা তুলে ধরে বলেন, 'আমরা যথেষ্ট প্রমাণ পেয়েছি যার থেকে তৃণমূলের তত্ত্বাবধানে পশ্চিমবঙ্গে চলতে থাকা গণতন্ত্রের এই নৃত্য দেখতে পাচ্ছি।'
মামলাকারী গৌরব ভাটিয়া বলেন, 'অভিজিত্ সরকার নিজের মৃত্যুর কয়েক মুহূর্ত আগে ফেসবুক লাইভে এসে জানান কীভাবে তাঁর বাড়ি এবং এনজিও-তে ভাঙচুর চালানো হয়। তৃণমূল কর্মীরা কুকুরদেরও বাঁচতে দেয়নি। এই হামলার জন্য তিনি নির্দিষ্ট ভাবে তৃণমূল কর্মীদের দায়ী করেছিলেন।'
এদিকে ভোট পরবর্তী হিংসার আবহেই ৫ মে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দিনটিতেই ভোট পরবর্তী হিংসার প্রতিবাদে দেশজুড়ে ধর্নার ডাক দিল বিজেপি। বিজেপির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই খবর জানানো হয়েছে।
বিজেপির বক্তব্য, ভোট পরবর্তী হিংসায় রাজ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ১২ জনের মধ্যে ৯ জন বিজেপির কর্মী। এছাড়া রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক হিংসার জন্য কয়েক হাজার মানুষ ঘরছাড়া। সব থেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছে বীরভূম, হাওড়া, কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, মেদিনীপুর, জঙ্গলমহলের জেলাগুলির বিজেপি কর্মীরা। প্রায় সব কটি বিধানসভাতেই বিজেপির কর্মীরা আক্রান্ত। অনেক কর্মী ঘরছাড়া। তার মধ্যে ৫০০-এর বেশি কর্মী-সমর্থক কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।
রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হয় দিল্লিতে। এরপরই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জানায়, বাংলার এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দেশজুড়ে প্রতীকী ধর্না কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া আজ দু'দিনের সফরে রাজ্যে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। রাজনৈতিক হিংসার বলি দলীয় কার্যকর্তাদের বাড়ি যাবেন তিনি।