শুধুই প্রত্যক্ষদর্শী নাকি বিজেপি সমর্থক? নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোট পাওয়ার পর যে দু'জনের বক্তব্য তুলে ধরে ‘সহানুভূতি’ আদায়ের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি, তাঁদের পরিচয় নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ার একাংশ। নেটিজেনদের একাংশের দাবি, সুমন মাইতি এবং চিত্তরণ দাস নামে ওই দুই 'প্রত্যক্ষদর্শী' আদতে বিজেপির সমর্থক। ফলে তাঁদের বয়ান নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন নেটিজেনদের একাংশ।
গত বুধবার নন্দীগ্রামে চোট পাওয়ার পর ‘ষড়যন্ত্র’-এর তত্ত্ব খাড়া করেছিলেন মমতা। প্রাথমিকভাবে অভিযোগ করেছিলেন, চার-পাঁচজন তাঁকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ ধাক্কা মেরেছে। যদিও নিজেদের 'প্রত্যক্ষদর্শী' হিসেবে দাবি করা সুমন এবং চিত্তরণ নামে দু'জন জানিয়েছিলেন, মমতাকে কেউ ধাক্কা মারেননি। সেই দু'জনের বক্তব্য ফেসবুকে পোস্ট করে বিজেপির তরফে লেখা হয়, ‘ইতিমধ্যে হেরে যাওয়া লড়াইয়ে সহানুভূতির নামে ভোট আদায়ের চেষ্টা করছেন?’
তারইমধ্যে সুমনের ফেসবুক প্রোফাইলের (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। নেটিজেনদের একাংশ দাবি করেছেন, সুমন আদতে বিজেপির সমর্থক। একটি ছবিতে (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) বিজেপির একটি মিছিলেও তাঁকে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। বুধবার অবশ্য নিজেকে পডু়য়া হিসেবে দাবি করেছিলেন সুমন। জানিয়েছিলেন তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নন। একইভাবে চিত্তরণের একটি ছবিও (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হয়ে যায়। তাতে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাশে তাঁকে দাঁড়িয়ে থাকতে গিয়েছে। যে চিত্তরণ দাবি করেছিলেন, মমতা গাড়িতেই বসেছিলেন। কিন্তু দরজা খোলা ছিল। একটি পোস্টারে লেগে দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মমতাকে কেউ ধাক্কা মারেনি। দরজার কাছে কেউ ছিলেন না।
তারইমধ্য বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ভিডিয়োয় যে বার্তা দিয়েছেন, তাতে 'ষড়যন্ত্র'-এর কোনও উল্লেখ করেননি মমতা। ঘটনার বিবরণ দিয়ে মমতা জানান, তিনি গাড়ির বনেটের উপরে দাঁড়িয়ে আমজনতাকে নমস্কার করছিলেন। তখন জোরে চাপ আসে। তাতে গাড়ির দরজা পায়ের উপর চেপে যায়।