মহারণ শুরু নন্দীগ্রামে। এর মধ্যেই পারদ সপ্তমে চড়ল সেখানে। প্রচারে বেরোতেই মমতার গাড়ি ঘিরে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তুলল বিজেপি সমর্থকেরা! যা নিয়েই উত্তেজনা ছড়াল নন্দীগ্রামে। মঙ্গলবার অর্থাৎ আজই দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের প্রচারেরও শেষ দিন। সেকারণে ঠাঁসা কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমা তথা নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের। বৃহস্পতিবারই ভোট। তাই নির্বাচনী পারদ এদিন সপ্তমে।
নির্বাচনী প্রচারের সুবিধার জন্যে রেয়াপাড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে রয়েছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকালে নির্বাচনী কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য বেয়াপাড়ার বাড়ি থেকে নন্দীগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। সেই সময়েই রাস্তায় ভিড় জমিয়েছিল বিজেপি সমর্থকেরা। তখনই তৃণমূল নেত্রীর গাড়ি ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। অভিযোগ ওঠে, তাঁর গাড়ি দেখতে পেয়ে পিছনে ধাওয়া করে বেশ কিছু বিজেপি সমর্থকেরা। শুধু তাই নয়, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে দিতে ছুটে যায় তারা। এরপরই ওই বিজেপি সমর্থকদের পথ আটকান কর্মরত পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা।
তবে কোনও প্রতিক্রয়া না—দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কনভয় সেখান থেকে বেরলেও শেষরক্ষা হয়নি। ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে মহম্মদবাজারেও। সেখান থেকে যাওয়ার সময় আবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় লক্ষ্য করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে থাকে উন্মত্ত বিজেপি সমর্থকেরা। সেখানেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তার পরেও ঘটনার রেষ কাটেনি। ফের টেঙ্গুয়া হয়ে যখন তৃণমূলনেত্রী সোনাচূড়ার দিকে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁর কনভয় ঘিরে আবারও জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন বিজেপির কর্মী—সমর্থকরা। এরপর নিরাপত্তারক্ষীরা কনভয় ওই জায়গা থেকে বের করিয়ে দেন।
আজ বিকেল ৫ টায় নন্দীগ্রামে শেষ হচ্ছে প্রচার। তার আগে শেষবেলায় জমজমটা প্রচার দেখবে নন্দীগ্রাম। অন্যদিকে, তৃণমূলনেত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বি শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে নন্দীগ্রামে এসেছেন অমিত শাহ। এদিকে নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়ায় হুইলচেয়ারে বসেই রোড শো—এ অংশগ্রহণ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সোনাচূড়া, বাঁশুলিচক ও টেঙ্গুয়ায় সভা করবেন তিনি।