অমিত শাহ না আসলেও ভেস্তে যাচ্ছে না ডুমুরজলার জনসভা। তা নির্ধারিত সূচি মেনেই হবে। এমনটাই জানালেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যে সভা থেকে সম্ভবত বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিতে চলেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একঝাঁক বিক্ষুব্ধ এবং দলত্যাগী তৃণমূল কংগ্রেস নেতা।
দু'দিনের বঙ্গ সফরে শুক্রবার রাতে কলকাতায় আসার কথা ছিল শাহের। আগামিকাল (রবিবার) ডুমুরজলার সভা থেকে তাঁর হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল একাধিক নেতার। স্পষ্টভাবে কিছু না জানালেও শুভেন্দু অধিকারীর ধাঁচে রাজীবও সেই সভায় শাহের হাত থেকে বিজেপির পতাকা তুলে নেওয়ার কথা ছিল। এছাড়াও তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক বৈশালী, হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী, উত্তরপাড়ার বিক্ষুব্ধ বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল-সহ একঝাঁক নেতানেত্রী গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন বলে খবর ছিল। কিন্তু শুক্রবার বিকেলে দিল্লিতে ইজরায়েলের দূতাবাসের কাছে আইইডি বিস্ফোরণের ফলে বাতিল হয়ে যায় শাহের বঙ্গ সফর। তার ফলে ডুমুরজলার মেগা জনসভা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল।
যদিও রাজ্য বিজেপির থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, শাহ না আসলেও ডুমুরজলার সভা হবে। তাঁর পরিবর্তে রবিবার দিল্লি থেকে কোনও কেন্দ্রীয় নেতাকে পাঠানো হতে পারে। সম্ভাব্য কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার নাম উঠে আসছে। তবে সপ্তাহান্তে তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে তাঁর ঠাসা কর্মসূচি আছে। ইতিমধ্যে তামিলনাড়ুতে পৌঁছেও গিয়েছেন তিনি। সেক্ষেত্রে দক্ষিণ ভারত থেকে তিনি বঙ্গে আসবেন কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চয়তা মেলেনি। একটি মহল থেকে রাজনাথ সিংয়ের নামও ভেসে যাচ্ছে। তবে শেষপর্যন্ত কে আসবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। শনিবার সন্ধ্যায় নাম চূড়ান্ত হতে পারে।
শনিবার সকালে দিলীপ বলেন, ‘কে আসবেন, সেটা হয়ত আজ জানা যাবে। অমিত শাহ আসছেন না, এটুকু জানানো হয়েছে। সেজন্য আজকের সমস্ত কর্মসূচি রদ করা হয়েছে। আগামিকাল ডুমুরজলায় যে জনসভা, যোগদান মেলা আছে, সেটা হবে। আমরা চাই যাঁরা পার্টিতে আসতে চাইছেন, তাঁরা তাড়াতাড়ি যোগদান করুন, যাতে পার্টির শক্তিবৃদ্ধি হয়। সেজন্য সেই সভা হবে। অন্য কোনও নেতা এসে ভাষণ দেবেন।’ রাজনৈতিক মহলের মতে, বড় মাপের কোনও নেতাকেই পাঠানো হবে। যাতে রাজীব-সহ একঝাঁক তৃণমূল-ত্যাগীর যোগদানকে কেন্দ্র করে বিধানসভা ভোটের আগে বাংলায় বেশ শোরগোল তৈরি করা যেতে পারে।