সরকারিভাবে এখনও তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়েননি। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ নিশ্চিত, বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই কিছুটা সতর্কভাবেই রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানান, রাজীবের মতো ‘ভালো এবং সৎ নেতা’-কে স্বাগত জানাতে তৈরি আছে বিজেপি।
দীর্ঘদিনের জল্পনার পর শুক্রবার দুপুরে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রাজীব। তারপর কৈলাস জানান, ‘ভালো এবং সৎ নেতা’ রাজীবের আত্মমর্যাদা আছে। যিনি বাংলার মানুূষের সেবা করতে চান। যাঁরা বাংলার উন্নয়ন চান, যাঁরা সোনার বাংলা গড়তে চান, তৃণমূল কংগ্রেসে তাঁদের দমবন্ধ হয়ে আসছে। তাঁরা তৃণমূল ছাড়তে চান। রাজীবের মতো নেতা যদি বিজেপিতে যোগ দিতে চান, তাহলে তাঁকে স্বাগত জানানো হবে।
কৈলাসের মতো একেবারে ফ্রন্টফুটে খেলেন অর্জুন। তিনি জানান, রাজীবকে স্বাগত জানাবে ভারতীয় জনতা পার্টি। রাজীব বিজেপিতে যোগ দিলে ভালো হবে। রাজীবেরও বিজেপিকে দরকার আছে। বিজেপিরও রাজীবের প্রয়োজন আছে।
সরাসরি না হলেও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে গেরুয়া শিবিরের আহ্বান জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। সরাসরি রাজীবকে আহ্বান না জানালেও দিলীপ বলেন, 'আমরা তো আমাদের শক্তির উপর লড়ছি। আমাদের কর্মীর উপর ভরসা করছি। মানুষ তো পরিবর্তন চান। মানুষ আমাদের দলে যোগ দিতে চান। যাঁরা পরিবর্তন চান, তাঁরা আমাদের দলে যোগ দিতে পারেন। তাঁদেরকে দলে স্বাগত।' বাবুল জানান, জনগণের মধ্যে যে নেতাদের জনপ্রিয়তা আছে, তাঁদের বিজেপিকে স্বাগত জানাতে বলেছেন অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় জে পি নড্ডা। আসানসোলের সাংসদ বলেন, ‘যাঁরা মানুষের জন্য কাজ করতে চান, যাঁরা জননেতা তাঁদের বিজেপিতে স্বাগত। ভোটের আগে পর্যন্ত কেউই দিদিমণির সঙ্গে থাকবে না। তিন-চারজনের একটি দল হয়ে থাকবে তৃণমূল।’ তবে রাজীব নিজে থেকে বিজেপিতে যোগদানের বিষয়টি চূড়ান্ত না করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন বাবুল।