নির্বাচনের সময় বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, ৫০০, ১,০০০ টাকা দিয়ে ভোট কেনে বিজেপি। কখনও কখনও তো অঙ্কটা ৫,০০০ টাকায় পৌঁছে যায় বলেও অভিযোগ করেন মমতা।
বাঁকুড়ার ছাতনার জনসভা থেকে মমতা অভিযোগ করেন, নোটবন্দি এবং লকডাউনের সময় হাজার-হাজার কোটি টাকার হিসাব নেই। ভোটে জেতার জন্য কাউকে ৫০০ টাকা, কাউকে ১,০০০ টাকা দেওয়া হয়। আবার কাউকে ৫,০০০ টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করে বিজেপি। মনে রাখতে হবে এটা জনগণের টাকা, এটা বিজেপির টাকা নয়। তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমোর আর্জি, 'বিজেপি টাকা ভোট কিনতে চাইলে টাকা দিয়ে ভোটের বাক্সে উলটে দেবেন। টাকা দিয়ে ভোট কিনতে দেবেন না।’ সঙ্গে বলেন, ‘কোথা থেকে পেল এত টাকা? আগে একটা বিড়ি দিনে তিনবার টানত। এত গরিব ছিল। এখন দেখুন কপালে তিলক টেনে মুখে বলে হরি হরি, কার্যক্ষেত্রে করি চুরি। এই হচ্ছে ধর্ম।’
মমতা দাবি করেন, আমজনতাকে বোকা বানিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। মোদীর জমানায় লাগামহীনভাবে রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, ‘আগে বলল দেব উজালা, এখন দেখছি হরবোলা।’ এমনকী বিজেপি ‘মিথ্যা কথার ডুগডুগি বাজায়’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতিরও অভিযোগ তোলেন। নিজের রাজনৈতিক জীবনের প্রথম দিকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ‘অজানা কাহিনি’ তুলে ধরে তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমায় যখন গার্ডেনরিচে গুলি করে মেরে ফেলতে চাওয়া হয়েছিল, তখন একটা ছেলে ছুটে এসেছিলেন। গুলি আমার কপালের লাগার পরিবর্তে তাঁর হাতে লেগেছিল। আমি বেঁচে চাই। সেই ছেলেটার নাম আখতার। বাড়ি গার্ডেনরিচে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার মা তখন বেঁচেছিলেন। বিশ্বাস করুন, আমার মায়ের সঙ্গে মায়ের বিছানায় ছ'মাস ঘুমিয়েছিলেন আখতার। এটাই আমাদের পরিবার।’