তৃণমূল কংগ্রেসের হার স্বীকার করে নিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। একাধিক অডিয়ো টেপ (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) প্রকাশ করে বিজেপির তরফে এমনই দাবি করা হচ্ছে। যদিও খোদ প্রশান্ত আবারও দাবি করলেন, এবারের বাংলার নির্বাচনে ১০০ টপকাবে না বিজেপির আসন সংখ্যা।
টুইটারে তিনি বলেন, ‘আমি খুশি যে নিজেদের নেতাদের তুলনায় আমার ক্লাবহাউস চ্যাটকে বেশি গুরুত্বের সহকারে দেখছেন। আংশিক কথোপকথন প্রকাশ করে উত্তেজিত না হয়ে সাহস দেখিয়ে পুরো কথোপকথন প্রকাশ করে দিক ওরা। আর আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ টপকাবে বিজেপি।'
শনিবার সকালে ভোট-পর্ব শুরুর ঠিক ১৮ মিনিট পরেই টুইটারে একাধিক অডিয়ো টেপ (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) প্রকাশ করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় আইটি সেলের প্রধান তথা রাজ্যের সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালবিয়া। প্রথম অডিয়ো টেপে (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) একজনকে বাংলার রাজনীতিতে সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়। বিজেপির দাবি, ওই ব্যক্তি প্রশান্ত। অপর একটি ভিডিয়ো পিকেকে (বিজেপির দাবি) বলতে শোনা যায়, ‘পুরো দেশেই মোদীর একটা ছবি তৈরি হয়েছে। সংখ্যাটা হেরফের হতে পারে। তবে ১০ শতাংশ, ২০ শতাংশ, ২৫ শতাংশ - এমন লোক আছেন, যাঁরা মোদীর মধ্যে ভগবান দেখতে পান। সেটা সঠিক না ভুল - তা আলাদা বিতর্কের বিষয়। বিশেষত এখানকার (বাংলার) যাঁরা হিন্দিভাষী, তাঁরা হলেন মোদীর সমর্থনের মূল ভিত্তি। প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়া আছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নেই। আর মোদী এখানে জনপ্রিয়, ব্যাপক জনপ্রিয়। আমরা যদি নেতাদের বিষয়ে সমীক্ষা করি, তাহলে মোদী আর মমতা একইরকমভাবে জনপ্রিয়। যা বড়সড় বিষয়। মোদী খুব জনপ্রিয়।’
নির্বাচনের দিন সেই ‘স্বীকারোক্তি’ নিয়ে চুপ করে বসে নেই বিজেপি।যথারীতি আসরে নেমেছে গেরুয়া শিবির। চুঁচুড়ার বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'প্রশান্ত কিশোরও জানেন যে মোদীজি হলেন সেরা। তাঁর নেতৃত্বেই সোনার বাংলা গড়ে উঠবে। কিন্তু মানুষকে বোকা বানাতে উনি তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।' সেইসঙ্গে বিজেপির তরফে দাবি করা হয় যে হার স্বীকার করে নিয়েছেন প্রশান্ত। এবার সেই প্রচারের পালটা মুখ খুললেন প্রশান্ত।